Last Updated on March 25, 2023 2:44 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। সূত্রপাত হয়েছিল কিছুদিন আগেই। ফলমূল, শাকসবজি থেকে শুরু করে চিকেন, মাটন, কিছুতেই যেন হাত দেওয়ার জো নেই। মধ্যবিত্তের উপর দিন দিন বেড়েছে মূল্যবৃদ্ধির চাপ। রমজানের শুরুতেই, সেই চাপে কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থায় সাধারণ মানুষ। ফলমূল হোক আর তরি তরকারির উপকরন, সবকিছুতেই জুড়ল অতিরিক্ত দামের বোঝা। ফলের দাম। সেখানেও ছাড় নেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাম বেড়ে গিয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। সাধারণ শশা কিংবা কলাতেও রেহাই নেই। সেখান থেকে তরমুজ, আপেল, আঙ্গুর, বেদানা আরও দুগুন বেশি। পাশাপাশি, সবজি বাজারও আগুন।বেগুন ৯০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১০০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা, এচর ৮০-৯০ টাকা। এমনিতেই, সবে সবে বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে গরমের সবজি। ফলে, দাম বেশি। শীতের সবজি এখন বাজারে নামমাত্র। যা রয়েছে, তার দামও আকাশছোঁয়া। ফলে, বাজারের ব্যাগ নিয়ে সকাল সকালই মুখ ব্যাজার করে বাড়ি ফিরছে মধ্যবিত্ত। এখানেই শেষ নয়। মাছ মাংসের বাজারেও যেন শান্তি নেই! চিকেন পৌঁছে গিয়ে ৩০০ টাকার আশেপাশেই।
যদিও, চিকেনের দাম বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। ব্যবসায়ীদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর পিছনের রয়েছে চিকেন-মাটন সম্পর্ক। এক ব্যবসায়ী পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে জানান, ইউপি থেকে রাজ্যে মাটনের সিংহভাগ যোগান আসে। কিন্তু, একপক্ষের ক্রমাগত মদতে, সেখানে বাড়ানো হচ্ছে মাটনের চাহিদা। কারণে, স্থানীয় মাংসের বাজার ক্রমাগত কমিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে কৌশলে। যে কারণে, সেখানের স্থানীয় মানুষরা ভরসা রাখছেন মাটনে। ফলে, সেখানে মাটন যোগান সীমিত হয়ে পড়ছে, দাম বাড়ানো হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই এ রাজ্যেও যোগান এবং দাম বেশির অবস্থা টালমাটাল। এখানেই শেষ নয়। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে থাকা মাটন কিছুটা হলেও ক্রেতা হারাচ্ছে। যার কারণে সেই সমস্ত মানুষ ঝুঁকছেন চিকেনের দিকে। একধাক্কায় হঠাৎ করে বেড়ে যাচ্ছে চাহিদা। মানুষের চাহিদা দেখে সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। সেই কারণে ১৮০ টাকা থেকে চিকেন বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ২৯০ টাকা কেজিতে। একই অবস্থা মাটনেও। ৮০০ কেজি মাটন চলেছে সাড়ে ৮০০ র পথে।