Last Updated on February 20, 2023 9:19 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।বিয়ের এক মাস কাটতে না কাটতেই ভয়ঙ্কর পরিণতি।শেষবারের মতো স্ত্রীকে ভিডিও কল করে গঙ্গায় ঝাঁপ স্বামীর।বাইক দাঁড় করিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।সোমবার সকাল ৬টা ২০ নাগাদ এই ঘটনা হয়।দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কলকাতা অংশের প্রথম পিলারের বাইক দাঁড় করিয়ে তিনি ঝাঁপ দেন।ওই ব্যক্তির নাম অরিজিৎ দাস।হাওড়ার দিকে যাওয়ার রাস্তায় তিনি বেশ খানিক ক্ষণ বাইক দাঁড় করিয়ে চুপ বসেছিলেন।তার পর বাইকে সিটে কালো ব্যগটি রেখে তিনি ঝাঁপ দিতে যান।দেখতে পেয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি তাঁকে হাত ধরে আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু হাত ছাড়িয়ে ঝাঁপ দেন গঙ্গায়।
পুলিশ সূত্রে খবর,ওই ব্যক্তি দ্রুত ছুটে হুগলি সেতুর টোল প্লাজার কাছে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের খবর দেন।তাঁর এসে বাইকটি উদ্ধার করেন।বাইকটির নম্বর দেখে ওই ব্যক্তির নাম ঠিকানা জানার চেষ্টা চলে। তল্লাশিও শুরু হয়ে যায়।জানা গিয়েছে,দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে প্রেম।আর সেই প্রেমিকাকেই স্ত্রী হিসাবে পেয়েছিলেন গড়িয়ার যুবক অরিজিৎ দাস।কিন্তু বিয়ের একমাসের মধ্যে ঠিক কী এমন হল যে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন মাত্র ২৬ বছর বয়সী অরিজিৎ দে। স্থানীয় সূত্রে খবর,দুজনে একই সঙ্গে গড়িয়ার বরদাপ্রসাদ স্কুলে পড়তেন।দীর্ঘদিনের ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা পরিণতি পেয়েছিল বিয়েতে।
এরপর ১৭ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল তাদের। কিন্তু বিয়ের একমাসের মধ্যে সবশেষ।দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিলেন অরিজিৎ শেষবারের মতো তিনি ফেসবুকে লিখলেন, ভালোবাসা মানে অরিজিৎ ১০০।সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অরিজিৎ।এরপর আর বাড়ি ফেরেননি।গভীর রাত পর্যন্ত তিনি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন। এরপর বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যান।পরে গঙ্গা থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ।তবে বন্ধুদের আড্ডায় অরিজিৎকে ওই রাতে বেশ মন খারাপ মতো লাগছিল। ঠিক কেন মনের কোণে বাসা বেঁধেছিল এত মন খারাপ?মৃতের বাবা তারক দাস বলেন, সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। রাতে খোঁজ করেছিলাম। বলেছিল আসছি। একবার ফোন করেছিলাম।রিং হয়ে গেল।একমাস হল ছেলের বিয়ে হয়েছিল।তারপর কেন এই ঘটনা হল বুঝতে পারছি না।তবে এই ঘটনার পেছনে কি কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।