Last Updated on May 25, 2023 1:03 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। জামাই আপ্যায়নকে কেন্দ্র করেই অবশেষে, নিখোঁজ ইলিশ, ভেটকি, পার্শে, পাবদার খোঁজ মিলল বাজারে। যদিও, দাম শুনে মুখ কিছুটা ব্যাজার করল মধ্যবিত্ত। তবে, রসনাতৃপ্তিতে কসুর না করেই চলল কেনাকাটা। দীর্ঘ সময় পর ইলিশের চাহিদা নিয়ে খুশি ব্যবসায়ী বাবলু দাস। মানিকতলা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, চড়া পড়া মাছ বাজারে কিছুটা হলেও জামাই ষষ্ঠীর কারণে বেড়েছে ক্রেতাদের আনাগোনা। ইলিশের চাহিদার পাশপাশি, বিক্রি হয়েছে ভেটকি, পার্শে, পাবদা, ট্যাংরা সবই।
যদিও, উৎসবের অন্য দিনগুলোর মত এদিন মাছের দাম ছিল একটু চড়া। ইলিশ ১ কেজির হলে দেড় হাজার টাকা, দেড় কেজি বা তার বেশি হলে ২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যান্য মাছের দামও সাধারন সময়ের তুলনায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি। অন্যদিকে, রুই কাতলা মত রোজগেরে মাছের চাহিদাও ছিল যথেষ্ট। উল্লেখ্য, এখনও ইলিশের মরশুম শুরু হয়নি।
যা রয়েছে সবই ঠান্ডা ঘরের। এ প্রসঙ্গে মানিকতলা বাজারের ব্যবসায়ী বাবলু দাস বলেন, এখনও রাজ্যে সেভাবে ইলিশ মাছ উঠছে না। মরশুম সেভাবে শুরু হয়নি। তাই, ঠান্ডা ঘরে যা রয়েছে মূলত মায়ানমার এবং বাংলাদেশের কিছু পুরোনো মজুত। এদিকে, দিন কয়েক আগেই বাজার থেকে একেবারে উধাও হয়ে গিয়েছিল পাবদা, পার্শে, পুঁটি, মৌরলাও সহ একাধিক মাছ।
অন্যদিকে, কাঠফাটা দাবদাহে পর পর কালবৈশাখী শুধুমাত্র, জনজীবনেই নয়, স্বস্তি ফিরিয়েছে বাজারেও। তেমনই অবশ্য দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। এমনিতেই, গরমের শুরু থেকে শাক সবজির বাজার ছিল বেশ ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু, শেষ কদিনের ঝড়বৃষ্টির প্রভাবে কিছুটা হলেও চাপ কমাচ্ছে জামাই আপ্যায়নে। এক ব্যবসায়ী জানান, যে সমস্ত শাক সবজি গরমের শুরু থেকেই বেশি ছিল।
সেগুলো এখন পাইকারি বাজারে অনেকটাই কম। তবে, এই উৎসবের জন্যে বিক্রেতারা কিছুটা করে বাড়িয়ে বিক্রি করে থাকে। পটল থেকে শুরু করে টমেটো, ক্যাপসিকাম সবকিছুই বৃষ্টির পর বেশ কিছুটা দাম নেমে এসেছে। আগের মত চড়া দাম আর নেই। গত বারের তুলনায় এবার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে সবজি।