Last Updated on April 15, 2023 8:51 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।কলকাতা পুরসভার চারটি ওয়ার্ডে ওয়াটার মিটার বসাতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা।জল নষ্ট রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।তবে,মিটার বসলেও এখনই জলের উপর কর বসানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে পুরসভা।কলকাতায় ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন কলকাতা পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম।তবে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের অপচয় একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে যাদবপুর-টালিগঞ্জ, পাটুলি,বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় প্রায়ই পানীয় জল অপচয় করার অভিযোগ শোনা যায়।এই পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ করার জন্য পানীয় জলের অপচয় খতিয়ে দেখতে মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ কলকাতার প্রায় ২৫,০০০ পরিবারকে মিটার দেওয়া হবে। তবে বাড়িতে ছাড়াও বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলিতে মিটার বসানো হচ্ছে।
সেগুলি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে একটি নির্দিষ্ট পাড়ায় কতটা জল সরবরাহ করা হচ্ছে এবং কতটা অপচয় হচ্ছে তার সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে।প্রসঙ্গত, কলকাতা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জানুয়ারিতেই এই মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল।এই প্রকল্পের আওতায় যাদবপুর, বাঘাযতীন, পাটুলি, মুকুন্দপুর, মাদুরদহ, নয়াবাদ, কসবা, গড়ফা, কসবা এবং আনন্দপুরে মিটার বসানো হবে। এর আগে কাশীপুর, টালা, সিঁথি, নর্দান অ্যাভিনিউ এবং বেলগাছিয়া এলাকায় এই কাজ হয়েছে।
এই প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এর উদ্দেশ্য হল পাইপলাইনে ফুটো হওয়ার কারণে পানীয় জল ক্ষতির পরিমাপ করা এবং পর্যায়ক্রমে পাইপ মেরামত বা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এই ধরনের ক্ষতি রোধ করা।এছাড়াও, আশেপাশের পরিবারগুলির জল ব্যবহার এবং অপচয় খতিয়ে দেখতে সাহায্য করবে।পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের এক আধিকারিক জানান,মিটারের মাধ্যমে প্রথমে আশেপাশের এলাকাতে পরিবারগুলির জল ব্যবহারের পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে।যদি প্রয়োজন অনুযায়ী জলের ব্যবহার করা হয় বা জলের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে সেই অনুযায়ী জল সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো হবে।উল্লেখ্য, বাসিন্দাদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে ২৪ ঘণ্টা জল সরবরাহ করা হবে। তার আগে এলাকাগুলিতে মিটারের সাহায্যে পানীয় জলের ব্যবহারের পরিমাণ জানা যাবে। যদি পানীয় জলের চাহিদা বাড়তে থাকে এবং হাউজিং কমপ্লেক্সগুলি পরিষেবার জন্য অর্থ দিতে করতে ইচ্ছুক হয় তাহলে বিশেষ পরিষেবা চালু করা হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে।