Last Updated on July 9, 2023 1:37 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। শিয়ালদহের একগুচ্ছ ভাতের হোটেল কিংবা অফিস পাড়ার দোকান। বদলেছে দুপুরের মেনু। ভেজ থালিতে, বেগুন পটল ভাজার বদলে জায়গা নিয়েছে রকমারি শাক ভাজা, কচু ভাজা। বেগুন দিয়ে মাছের ঝোল কিংবা ঝিঙে আলু পোস্টের পরিবর্তে পাঁপড় আলু বড়ির তরকারি। মিক্স ভেজের বদলে দেওয়া হচ্ছে সয়াবিন। কিছু জায়গায় বাড়ানো হচ্ছে কুমড়ো, সহ সস্তার সবজির ভিড়। এক দোকানির বক্তব্য, হয় মেনুতে পরিবর্তন, নাহয় দাম বাড়ানো। এছাড়া, উপায় নেই। দাম বাড়ালে লোক সংখ্যা কমে যায়।
তাই, বাধ্য হয়েই আগুন দর সবজির বদলাতে হচ্ছে। আরেক ব্যবসায়ী দীনেশ চন্দ্র জানান, ভেজ থালিতে আলু ভাজা থাকলেও সঙ্গে পটল কিংবা ধ্যারশ ভাজা আর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই, কুমড়ো দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। অনেক আবার লাভের খাতিরে বাধ্য হয়েই দাম বাড়াচ্ছেন। অন্যদিকে, কিছুদিন আগে দুপুরে ভাতের থালা থেকে উধাও হয়েছিল পেঁয়াজ। এবার, অবশ্য লঙ্কাকাণ্ড। মাছের ঝোলে যেমন আদা নেই। পাতে লেবুর সঙ্গে নেই লঙ্কা। চাইলে অবশ্য দোকানির বক্তব্য, অনেক দাম। কখনও ৩০০ আবার কখনও ৪০০ টাকা কেজি।
তাই, লঙ্কা বাদ। টাস্ক ফোর্সের নজরদারি থাকলেও যোগানের অভাবে লঙ্কার দাম কখনও পাইকারি বাজারে ১৭০ আবার কখনও ১৮০-১৯০ টাকা। ফলে, সেগুলো খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়। অনেক আবার শুধুমাত্র যারা চাইছেন তাদেরকেই দিচ্ছেন কাঁচা লঙ্কা। প্রসঙ্গত,৩০, ৪০ এর সবজি এখন ১০০। টাস্ক ফোর্সের নজরদারিতে অবশ্য কমছে দাম। দুদিন আগে পর্যন্ত ১০০ নীচে ছিল।
যদিও, পাইকারি বাজারে কিছুটা দাম বাড়লেও সেই দাম নাগালের মধ্যেই। তবে, কোথায় গন্ডগোল? এক ব্যবসায়ী জানান, অনেকেই সবজি পাইকারি বাজার থেকে কিনে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন। ফলে সেখান থেকেও দাম বাড়ছে। রবিন বিশ্বাস গড়িয়াহাট বাজারের ব্যবসায়ী জানান, বৃষ্টির সময় সবজির পচনের কারণেও দাম বাড়ছে। পরিবহনের সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক সবজি। ফলে বিক্রেতাকে লাভের জন্যে কিছুটা হলেও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।