Last Updated on April 17, 2023 7:49 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন | তেতেপুড়ে যাচ্ছে বাংলা। চড়ছে পারদ। তাপমাত্রার পারদ ইতিমধ্যেই ৪২ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। আর এই তীব্র গরম ও অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যেই স্কুলে ছুটতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। সেই কারণে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে গরমের ছুটি এগিয়ে ২ রা মে থেকে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় সেই ছুটি আরও এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী| তার নির্দেশে আজ (১৭ এপ্রিল ২০২৩) থেকে শনিবার (২২ এপ্রিল ২০২৩) পর্যন্ত রাজ্যের সকল সরকারি বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর । বেসরকারি স্কুলগুলিকেও অনুরোধ করা হলেও তারা এখনই ছুটি দিতে নারাজ। বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুল এখনও খোলা। চলেছে নিয়মিত পঠনপাঠন।
ইতিমধ্যে রাজ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ও বহু লোক অসুস্থ বড় করছেন | রবিবার সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমরা পনেরো দিন আগেই ছুটি এগিয়ে এনেছি। গ্রীষ্মের প্রখর দাবানলে মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের সব থেকে বেশি দেখা উচিত যাতে হিট স্ট্রোকে মানুষ মারা না যায়। ” মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমি ১২টা থেকে ৪টে পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে বলব যতটা সম্ভব রোদটা যেন এড়িয়ে চলেন। বেশি করে জল খাওয়ার জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন বলেন, আমি বাচ্চাদের সঙ্গে মিশি। একটি বাচ্চা আমায় জানিয়েছে আমরা আর পারছি না। মাথা যন্ত্রণা করছে। আর মাথা যন্ত্রণা মানে হিট স্ট্রোকের প্রবণতা রয়েছে। সেই জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক্ষুনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি আগামিকাল থেকেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যলয়ে ছুটি থাকবে। অর্থাৎ সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সমস্ত সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে বলছি ছুটি ঘোষণা করতে। রাজ্য সরকার নোটিফিকেশন দিচ্ছে দ্রুত। মুখমন্ত্রী জানান, বাচ্চারা আর পারছে না। যে বাইরে বেরচ্ছে তার মাথা ঘুরে যাচ্ছে। বড়রাই পারছে না তো বাচ্চারা কীভাবে পারবে? তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। স্কুল থেকে বিশ্ব বিদ্যালয় কেউ এই সময়টা স্কুলে যাবে না। এর জন্য সিলেবাসে অসুবিধা হলে অতিরিক্ত ক্লাস পরে করে নেবেন। তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিলাম সরকারের পক্ষ থেকে।
তবে শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি স্কুল গুলোও বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বেসকারি স্কুলগুলো যেন এই সিদ্ধান্ত দয়া করে মানে। আমি অনেক সময় দেখি সরকারি স্কুল মানলেও বেসরকারি স্কুল মানে না। বেসরকারি স্কুলে বাচ্চারাও বাচ্চা মনে রাখতে হবে । তবে ইতিমধ্যে আইসিএসসি বোর্ডের মুখ্য নির্বাহী গাড়ি আর্থুন জানিয়েছেনা যে তারা মুখ্যমন্ত্রী ও স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশ এর কপি দিয়ে ইতিমধ্যে তাদের বোর্ডের সব স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছেন | শুদ্ধান্ত স্কুলকেই নিতে হবে তারা কি করবে | রাজ্যে ২ ০ ০ ০ এর সামান্য বেশি স্কুল আছে যেখানে এই পাঠক্রম পড়ানো হয় | তবে এর আগেও দেখা গেছে রাজ্য সরকারের অধীনস্ত না হওয়াতে এই সব বেসরকারি স্কুল রাজ্য সরকারের নির্দেশ মানতে চাননি| পরে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের স্বার্থে রাজ্য সরকার করা অবস্থান নিলে তখন এই সব বেসরকারি স্কুলগুলি সরকারি নির্দেশ মেনে নেয় |