৩৬৫ দিন।শহরের পর পর কয়েকটি মৃত্যু।নেপথ্যে কারণ সেই বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু।তবে এবার থেকে কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত কোনও এলাকায় বিপজ্জনক বিদ্যুতের খুঁটি দেখলেই তা সরাসরি পুর কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে পারবেন শহরবাসী৷এর জন্য চালু করা হল একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর৷মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন,বিপজ্জনক বিদ্যুতের খুঁটি দেখলেই ৮৩৩৫৯৯৯১১১ নম্বরে ছবি তুলে পাঠানো যাবে৷
অভিযোগ পেলেই পুরসভার তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷এদিকে,পর পর এই মৃত্যুর পেছনে কি কারণ?এই রিপোর্ট কলকাতা পুরসভার কাছে চাইল নবান্ন।৭ দিনের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেই জানা গিয়েছে।শহরে কতগুলি বাতিস্তম্ভ রয়েছে, সেগুলোর কী অবস্থা, কোন বাতিস্তম্ভের কোথায় কোথায় হুকিং করা হচ্ছে, কলকাতা পুরসভার বেহাল বাতিস্তম্ভগুলি নিয়ে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে,না নিলে কেন নেয়নি সমস্ত কিছুর উল্লেখ থাকতে হবে ওই রিপোর্টে।
একইসঙ্গে যে বাতিস্তম্ভগুলির মাঝখানে থাকা ইলেকট্রিক বক্স খোলা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল সম্প্রতি, সেগুলি পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কি না সমস্ত কিছু রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে পুরসভার আলো বিভাগ সূত্রে খবর।পুরসভার আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সী জানান,এক সপ্তাহের মধ্যে নবান্ন রিপোর্ট চেয়েছে।এর মধ্যেই রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে তিনি জানান,শুধু পুরসভা নয়,সিইএসসিরও একাধিক বাতিস্তম্ভ খারাপ রয়েছে।রিপোর্টে নবান্ন যা যা জানতে চেয়েছে,সমস্ত কিছুই জানানো হবে।নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তা পাঠানো হবে।কিছুদিন আগেই হরিদেবপুরে এক কিশোর জমা জলে তড়িদাহত হয়। বাড়ি থেকে যাওয়ার পথে একটি বাতিস্তম্ভে হাত লাগে তার। ছিটকে পড়ে।
সেখানেই তার মৃত্যু হয়।চলতি সপ্তাহেই ট্যাংরা থানা এলাকায় একটি খাবারের দোকানের মালিক দোকান থেকে বেরোনোর সময় শাটারে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।অভিযোগ তাতেই মারা যান তিনি। গত কয়েকদিনে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে শহরে যতগুলি মৃত্যু হয়েছে, তার অধিকাংশের সঙ্গেই হুকিং করে বিদ্যুৎ সংযোগের ঘটনার যোগ পাওয়া গিয়েছে।এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।