Last Updated on January 16, 2022 11:38 AM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। ৪ পুরভোট ফেব্রুয়ারি মাসে পিছিয়ে যাওয়ায় ৩১ জানুয়ারি কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা করা যাবে না। কিন্তু ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলপ্রকাশের পরে সেন্ট্রাল পার্কেই বইমেলার আয়োজন করবে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড। গিল্ডের তরফ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত দিনে বইমেলা না করা গেলেও এবছর কোভিডবিধি মেনে বইমেলা হবেই।শনিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, করোনা সংক্রমণের কারণে বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগরের পুরভোট ২২ জানুয়ারির বদলে ১২ ফেব্রুয়ারি হবে। ভোটের জন্য গোটা বিধাননগর পুর এলাকাজুড়ে আদর্শ আচরণ বিধি জারি থাকবে। ফলে ৩১ জানুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন করতে পারবেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে নির্বাচনের মাঝে বইমেলার আয়োজন করতেও সমস্যায় পড়তে হবে গিল্ডকে। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করা মাত্রই বৈঠকে বসেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের কর্তারা।
গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু দে জানান, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবছরই বইমেলার উদ্বোধন করেন।কিন্তু সেইসময় আদর্শ আচরণবিধি জারি থাকলে মুখ্যমন্ত্রী এসে বইমেলার উদ্বোধন করতে পারবেন না। তাই আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারির পরবর্তী কোন তারিখে বইমেলা করানো যায় সেটা দেখছি। একইসঙ্গে আশা করছি করোনা সংক্রমণ তখন অনেকটাই কমে যাবে। এবছর বই প্রেমীরা হতাশ হবেন না। বইমেলা এবার হবে। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের জন্য এবার গিল্ডের তরফে বেশ কিছু কোভিড গাইডলাইনের ঘোষনা করা হয়েছে। মেলা গ্রাউন্ডে অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রাখা হবে তার জন্য স্টল ছোট করার যন্ত্র নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পাবলিশার্সদের কর্মীদের ডবল ডোজ ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক। ভ্যাকসিন না হলে মেলায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।পাশপাশি মাস্ক পরা এবং সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে মেলায় প্রবেশের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ সহ অন্যান্য যে সকল দেশ থেকে প্রতিনিধিরা আসবেন তাদের কোয়ারেন্টাইন করা হবে। সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রীকে পেতে হলে ১৫ ফেব্রুয়ারির পর বইমেলা করতে হবে। তাই ১৫ ফেব্রুয়ারির পরেই যেদিন দিদি বলবেন, সেদিনই বইমেলা হবে। আমরা আন্তর্জাতিক বইমেলার ক্যালেন্ডারের সঙ্গে দিনটিকে মিলিয়ে দেখে নেব।