Last Updated on March 5, 2023 1:58 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। দোল কিংবা হোলির দুপুরের ভুরিভোজ অথবা ঘরোয়া কাবাব পার্টি, সবেতেই দামী হল চিকেন। এ যেন চিকেনর দামের লং-ঝাম্প। ১৮০ থেকে সোজা ২৫০ টাকা কেজি। কোথাও আর একটু বেশি। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই বদলে গেল বাজারের ছবি। একধাক্কায় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ টাকা বেড়ে গেল কেজিতে। মানিকতলা বাজারের এক ক্রেতা জানাচ্ছেন, কিছুদিন আগেই নিয়ে গিয়েছিলাম ১৯০ টাকায়। এখন দেখছি সেটা আড়াইশো বলছে। এরকম হলে, দরুন মুশকিল। হগ মার্কেটের এক ক্রেতা বলেন, একই সঙ্গে দাম বেড়েছে গোটা চিকেনেরও। সবমিলিয়ে, উৎসবের সময় এলো ত, সবকিছুর দর বেড়ে গেল রাতারাতি। বিক্রেতাদের বক্তব্য, উৎসবের সময় চাহিদা বাড়ে। এটা নতুন নয়। কিছুটা হলেও যোগানে টানাপোড়েন চলে। আর, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী থাকে সুযোগের অপেক্ষায়। সবমিলিয়ে, দাম বেড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, শীতের মরশুমে চিকেন ছিল অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী।
কখনও বিয়ে আবার কখনও পিকনিকের মরশুম মিলিয়ে দাম কমার জো ছিল না। কোথাও কোথাও ২৩০ কিংবা ২৪০ এও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর, প্রায় ৩০০ কাছে পৌঁছে যাওয়া চিকেনে দামে লাগাম লাগে। তারপর, একেবারে ২০০ এর নীচে নেমে যায় চিকেনের দাম। এরপর, কিছুটা বেড়ে ২০০ কিংবা ২১০ এই আটকে ছিল কেজি। শীতকালীন দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে হগ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, শীতের সময় মানুষ চিকেন, ডিম এসব বেশি খায়। কিছু না কিছু লেগেই থাকে। পিকনিক চলে চারিদিকে। সেগুলোর জন্যে দরকার পড়ে একটা বড় পরিমাণ যোগান। আর, চাহিদা বাড়লেই দরকার হবে, একসঙ্গে অনেক চিকেন। কিছু কিছু ব্যবসায়ী এই পরিস্থিতির সুযোগ নেয়। একটু বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা লোটে। তিনি যোগ করে বলেন, এছাড়া এখনও রয়েছে বিয়ের সিজন। সেই কারণে কিছু কিছু জায়গায় দাম বাড়ছে। এর আগে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেখা গিয়েছিল এই অবস্থা। যোগান কমের কারণে বেড়ে যায় চিকেনের দরদাম। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই শুধুমাত্র চাহিদাকে কেন্দ্র করে বাড়ে দামের তালিকা। ২০ থেকে ২৫ টাকা। একদল ব্যবসায়ী বেশি মুনাফা লাভের জন্যে সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে মুরগির মাংস। মানিকতলা বাজারের এক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, শনি, রবি চাহিদা অন্যান্য সাধারণ দিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকে। বিক্রি বেশি এবং কিছুটা বেশি মুনাফা লাভের জন্যে ব্যবসায়ীদের একাংশ দাম বাড়িয়ে দেন।
