Last Updated on July 15, 2022 6:40 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। ঠিক যেন, এক টুকরো শরত! পেঁজা তুলোর মত সাদা মেঘ আষাঢ়ের আকাশে। সেই নীলের মাঝেই ঘনাল আঁধার। হঠাৎ বৃষ্টি। তারপর, আবার রোদ। সবমিলিয়ে, ঘোর বর্ষায় আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা নিয়ে জেরবার মানুষ। মরশুমের শুরুতে শুষ্কতা। টানা সেই রেশ নিয়েই চলল গোটা একটা মাস। খাপছাড়া বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শহর জুড়ে। তুলনায় কিছুটা এগিয়ে জেলা।
প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করেই বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। কলকাতায় সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। ফলে, ঘাটতির দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে শহর। উত্তরবঙ্গ এগিয়ে, সেখানে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। জুনের শেষে বৃষ্টির অভাব ছিল চোখে পড়ার মত। জুলাইয়ে সেই খামতি পূরণের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। দুর্বল মৌসুমী বায়ুর সৌজন্যে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি পেরিয়েছে ৫০ শতাংশ। চলতি মাসেও অব্যাহত থাকবে একই অবস্থা।
এই প্রসঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানান, মৌসুমী অক্ষরেখা রাজ্যের উপর নেই। বঙ্গে এখনও কোন নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত নেই। ফলে, সরাসরি প্রভাব পড়বে না রাজ্যে। আগামী পাঁচ দিন বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। ফলে, সামগ্রিকভাবে বাড়বে বৃষ্টির অভাব। তিনি যোগ করে বলেন, শহরে তাপমাত্রা থাকবে ৩৩-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করছে একটি নিম্নচাপ। যদিও, সেই প্রভাব সরাসরি পড়বে না রাজ্যে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকেই কখনও ঝিরঝিরে কখনও আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। সম্প্রতি, বাংলাদেশ উপকূলে তৈরি হওয়া এক ঘূর্ণাবর্ত এগিয়ে আসছিল ওড়িশা উপকূলের দিকে। বিজ্ঞানীরা জানান, সেই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এবং ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করবে। ফলে, সেই রেশ অনুযায়ী কিছুটা বৃষ্টি প্রাপ্তি হবে বঙ্গের।