Last Updated on May 12, 2023 1:42 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। পুরনো সেই দিনের কথা! দাবদাহের শহরে ফিরছে পুরনো স্মৃতি। দহন জ্বালা থেকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছে গ্রামীণ রীতি নীতিই। অসহ্য গরমে ফ্রিজের জল ছেড়ে শহরবাসীর ভরসা এখন কুঁজোর জল কিংবা মাটির বোতলই। খুশি ক্রেতা এবং বিক্রেতা, উভয়েই। এই প্রসঙ্গে বেহালার বাসিন্দা রিমা পাল জানান, সরাসরি ফ্রিজের জল সব সময় খাওয়া যায় না। বাড়িতে বাচ্চা, বয়স্ক সকলেই রয়েছেন। ঠান্ডা জল নিয়মিত খেয়ে ঠান্ডা লাগা, গলার সমস্যা লেগেই থাকে। সেখান থেকে মাটির জলের বোতল অনেক বেশি আরামদায়ক। এতে জল ঠান্ডাও থাকে, শরীর খারাপের ভয়ও থাকে না। অন্য এক ক্রেতা রাজিব বলেন, এখন বিভিন্ন ডিজাইনার মাটির বোতলও পাওয়া যাচ্ছে।
দোকানে গিয়ে না হলেও সময়ের অভাবে অনলাইনেও কেনা যায়। এছাড়াও, বেড়েছে মাটির কুঁজো বা কলসের চাহিদা। এই নিয়ে বিক্রেতা রবি জানান, এখন কুঁজোর মধ্যে কল বসানো থাকছে। ফলে, একেবারে আগেকার দিনের মত না। কিছুটা সুবিধাও এসেছে। জল ঠান্ডা থাকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। সকলের বাড়িতে ফ্রিজ কিংবা ঠান্ডা করার ব্যবস্থা নেই। সেক্ষেত্রে, এই ধরনের জিনিস সকলের জন্যেই ভাল। সাধারণ মধ্যবিত্ত সকলেই কিনতে পারবেন। এই নিয়ে বিক্রেতা রণজিৎ প্রামাণিক জানান, শহরের খুচরো ব্যবসায়ীরা মূলত দত্ত পুকুর থেকে মাটির বোতল সরবরাহ করেন। হাওড়া থেকে কলসের যোগান আসে। এছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও এসব মাটির পাত্র এসে থাকে বিভিন্ন সময়ে।
এদিকে, চাহিদার জন্যে বেড়েছে দামও। কোথাও কোথাও এক লিটারের মাটির বোতলের দাম পৌঁছে গিয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। যদিও, নকশা কিংবা ডিজাইনের উপরেই বোতলের দাম নির্ভর করে থাকে। তবে, আপাতভাবে বিক্রি বাড়লেও অনলাইনের দাপটে মূলত লাঠে ওঠে ব্যবসা, এমনই অভিযোগ আনেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, গরমের সময় ছাড়া এসবের তেমন চল থাকে না। ফলে, জীবিকা নির্বাহের জন্যে লাভের মৃৎশিল্পীরা চলে যাচ্ছেন অন্য ব্যবসায়। তার উপর রয়েছে অনলাইন শপিংয়ের কামড়। বাড়ি বসেই মানুষ হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছেন জিনিস। যে কারণে মার খাচ্ছেন খুচরো বিক্রেতারা।