Last Updated on April 6, 2023 12:32 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। গরমের হাঁসফাঁস দুপুর হোক বা রোজার বিকেল, লেবু জলের যেন বিকল্প নেই। এক টুকরো স্বস্তি! কিন্তু, এতেও অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী দামের জারিজুরি। এক মাসে, দামের তফাৎ অতি সামান্য। খোলা বাজারে লেবু সেই ৬ থেকে ৭ এই আটকে। যদিও, কিছুদিন আগে পৌঁছে গিয়েছিল ১০ টাকার দোরগোড়ায়।পাইকারি বাজারে লেবুর পিস শুরু ৩ টাকা থেকে, ৪ টাকা পর্যন্ত। এই প্রসঙ্গে এক ব্যবসায়ী জানান, রাজ্যে উৎপাদিত লেবুর যোগান কিছুটা বেড়েছে। সেই জন্যেই লেবুর দাম দু এক টাকা কমেছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, পাতিলেবু সবটাই ম্যাড্রাস থেকে নিয়ে আসা হয়। এবার, সেখানে লেবু উৎপাদন কম হয়েছে। গত ৩ থেকে ৪ মাস সারা দেশে বৃষ্টি বলে কিছু নেই। লেবু ফুল তাপমাত্রার কারণে খসে গিয়েছে। এমনিই শুষ্কতা বেশি সেখানে।
তিনি বলেন, উৎপাদন কম হওয়ায় যে পরিমাণ লেবু আসত, সেই পরিমাণ নয় তার এক তৃতীয়াংশ লেবু আসছে রাজ্যে। চাহিদার সঙ্গে যোগান অনেক কম। এছাড়া, চলছে রমজান মাস। কারণ, এইসময় রোজা ভাঙার পর লেবুর জলের চাহিদা বেশি থাকে। প্রতি বছরই এই রকম চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এবার অনেক বেশি। কিছুদিন আগে পর্যন্ত লেবু পাইকারি বাজারে লেবুর পিস ছিল ১ টাকা থেকে ২ টাকা। সেই সময় বিক্রেতাদের বক্তব্য ছিল, সবে শুরু। গরম বাড়লেই বাড়বে লেবু জল খাওয়ার প্রবণতা। দোকানে দোকানে বাড়বে পাতি লেবুর চাহিদা। এক বছর আগেই কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় এক পিস পাতিলেবুর দাম পৌঁছায় ১০ টাকা। সেই নিয়ে রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, মোট চাহিদার ২০ শতাংশ লেবু উৎপাদন হয় রাজ্যে। বাকি ৮০ শতাংশের যোগান দেয় চেন্নাই। কিন্তু, গত মরশুমে বন্যার কারণে সেখানে ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে ফসল। ফলে, সেখান থেকে আসা লেবুর যোগান স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। যদিও, সেই সময় সংকট সমস্যার একমাত্র সমাধান হয় গোড়া লেবু। রাজ্যে উৎপাদন হয় গোড়া লেবু। খুবই টক। এই লেবুর বেশিরভাগটাই রপ্তানি হয় আরবে। তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের সারা বছর ধরেই লেবুর যোগান দেয় চেন্নাই। এ রাজ্যে মোটামুটি কমবেশি সব জেলাতেই উৎপাদন হয় লেবু।