৩৬৫ দিন।ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।উদাসীনতার কারণেই কি ফের রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে?গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যেভাবে সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে তাতে এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা।তাই সংক্রমণের হার রুখতে জেলা প্রশাসন ও কমিশনারেট এলাকাগুলিকে সচেতনতা মূলক প্রচারে জোর দিতে নির্দেশ নবান্নের।সম্প্রতি যে হারে সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়ছে তাতে প্রায় তিন হাজার ছুঁইছুঁই।নবান্নের নির্দেশের পরই কলকাতা পুলিশ করোনা বিধি নিষেধ নিয়ে তৎপরতা চোখে পড়ার মত।
সেই নির্দেশ মতোই বেলেঘাটা থানা এলাকার রাণী রাসমণি বাজার থেকে প্রচার শুরু করে পুলিশ।তবে রবিবার সকাল থেকেই সব্জি বাজার হক বা মাছ বাজার ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলের মধ্যেই উদাসীনতার ছবি।করোনা বিধি শিকেই তুলে অবাধে চলছে বেচাকেনা।কয়েকজন মাস্ক পরলেও বাকিদের মাস্ক পরা নিয়ে হেলদোল নেই বললেই চলে।তাই সব নাগরিকদের ফের করোনা বিধি নিয়ে সচেতন করতে বেলেঘাটা থানার তরফে চলল মাইকে প্রচার।
তবে প্রচারের মাধ্যমে পুলিশের তরফে প্রচার করা হচ্ছে,সকলকেই মাস্ক পরে দূরত্ব বিধি বজায় রেখে বাজার করার আবেদন করা হয়।শুধু তাই নয় অযথা ভিড় যাতে না করা হয়।এই আবেদনও যেমন ছিল তেমন বাড়ি ফিরে সাবান জলে হাত পা পরিষ্কার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশের তরফে।পুলিশের এই প্রচারে অনেকেই স্বীকার করছেন অবহেলার কারণেই করোনা ফের বাড়ছে।কেউ কেউ মাস্ক নিয়ে বেরোলেও তা হয়ে গিয়েছে পকেটেই।
পুলিশের সচেতনতামূলক প্রচার দেখে পকেট থেকে বার করে আনছেন মাস্ক।ক্রেতারা নিজের মুখেই বলছেন,নিয়ে বেরিয়েছি পকেটে রয়ে গিয়েছে।এবার থেকে মাস্ক পরব।ক্রেতারা জানিয়েছে,হ্যাঁ করোনা বাড়ছে,এবার থেকে মাস্ক নিয়ে আসব।গত দু’বছর ধরে পুলিশের তরফে প্রচার হয়েছে, পুরসভা থেকে কাউন্সিলর প্রতি ওয়ার্ডে হয়েছে করোনা নিয়ে সচেতনতা শিবির, কিন্তু অবহেলা অসাবধানতা এবং বিধি ভাঙার খেলা রয়ে গিয়েছে আমজনতার মধ্যে।