৩৬৫ দিন।পুল ইস কুল।নতুন স্লোগান কলকাতা পুলিশের।কারণ অবশ্যই যানজট মুক্ত করা।তাই স্কুলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলকারেই জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।পুরোদমে স্কুল চালু হয়ে গিয়েছে। আর স্কুল চালু মানেই সকাল হলেই রাস্তায় স্কুলমুখী গাড়ির ভিড়।চূড়ান্ত যানজট রাস্তায়।সেই যানজট সামলাতে কলকাতা পুলিশের একেবারে নাকানিচোবানি অবস্থা পুলিশের।সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার স্কুলের সামনে নয়া পোস্টার দেওয়া শুরু করল কলকাতা পুলিশ।
যানজট এড়াতে উদ্যোগ,পুলকারে জোর কলকাতা পুলিশ
মূলত অভিভাবকদের কাছে কলকাতা পুলিশের অনুরোধ,পারলে পুলকারেই স্কুলে পাঠাতে পারেন আপনার সন্তানকে।কিন্তু কেন পুলকারের উপর জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ?জানা গিয়েছে,স্কুলের যাওয়ার জন্য রোজ হাজার হাজার গাড়ি রাস্তায় বের হচ্ছে।স্কুলের সামনে এত গাড়ির ভিড় যে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।যাঁরা বাসে করে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যেতে চাইছেন তাঁরাও যানজটে ফেঁসে গিয়ে সঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারছেন না।
সেকারনেই অনুরোধ করা হচ্ছে নিজেদের গাড়ির তুলনায় বা একক গাড়ির তুলনায় পুলকারেই সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারেন।এতে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩৫ শতাংশ কমে যাবে।তাতে বেশ যানজট মুক্ত থাকবে রাস্তায়।এদিকে,এই উদ্যোগে কলকাতা পুলিশের নয়া স্লোগান,পুল ইস কুল।
পুলিশ সূত্রে খবর,স্কুলের সময় এত গাড়ি একসঙ্গে রাস্তায় বের হচ্ছে যে প্রবল দুষণ ছড়াচ্ছে।কোনওভাবেই তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।অন্যদিকে একটি পুলকারে ১৩জন ধরে।তারা যদি সকলেই নিজেদের বা স্কুল ড্রপ গাড়িতে এককভাবে যায় তবে গাড়ির সংখ্যা মারাত্মকভাবে বেড়ে যাবে।আবার তারাই যদি পুলকারে যায় তবে গাড়ির সংখ্যা হু হু করে কমবে।
সেকারনেই স্কুলে স্কুলে পোস্টার দিয়ে কলকাতা পুলিশের ঘোষণা, পুলকারেই স্কুলে পাঠান বাচ্চাদের।এতে যানজট ও দুষণ দুই কমবে।এমনই আবেদন অভিভাবকদের কাছে পুলিশের।কারণ স্কুল এখন পুরোদমে চালু হয়ে গিয়েছে।সকালের দিকে গাড়িতে গাড়িতে রাস্তা ভরে যায়।এই সময় ট্রাফিক সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হয়।
তবে যানজট এড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাত পুলিশের।