চন্দ্রমুখী অগ্নিমূল্য, আলুকে টেক্কা দিয়ে মধ্যবিত্তের চাহিদা মেটাচ্ছে পোখরাজ, এসওয়ান আলু

0

Last Updated on July 13, 2022 5:36 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। মধ্যবিত্তের চাহিদা মেটাতে দেদার বিকোচ্ছে পোখরাজ, এসওয়ান আলু। সাধারণের পক্ষে তফাত করা একটু মুশকিল! জ্যোতি আলুর সঙ্গে মিলিয়েই বিক্রি হচ্ছে এই আলু। কোথাও ৩০ আবার কোথাও ৩৫ টাকা কেজি। অন্যদিকে, একধাক্কায় রাতারাতি বাড়ছে চন্দ্রমুখী আলুর দর। ৪০ থেকে সোজা ৪৫ টাকা কেজি। এই প্রসঙ্গে কোলে মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, আগে জ্যোতি আলু সংরক্ষণ করা হলেও পোখরাজ, এসওয়ান এইসব আলু কোল্ড স্টোরজে রাখা হত না। কিন্তু, এখন জ্যোতি আলুর সঙ্গে এইসব আলুও সংরক্ষণ করা হয়। মূলত, বাজারে জ্যোতি আলুর সঙ্গে মিলিয়ে বিক্রি করা হয়। ডিসেম্বরের শেষ থেকে এই ধরনের আলু তোলার কাজ শুরু হয়। চন্দ্রমুখীর দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, চন্দ্রমুখীর নির্দিষ্ট কোন দাম নেই। চন্দ্রমুখীর চাহিদা এমনিতেই কম থাকে। তার ফলে, চাষ তুলনামূলক কম হয়। উৎপাদনের কমের কারণেই দাম বেশি। তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ৭০ শতাংশ আলু জ্যোতি আলু। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পেসওয়ান, পোখরাজ আলু। চন্দ্রমুখী ৫ শতাংশ। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ব্যবসায়ীরা জানান, এমনিতেই আলু ১৫ থেকে বাড়তে বাড়তে ২৫ এ ঠেকেছে। আগামী দিনে আরও বাড়বে। ২৫ থেকে কমার কোন সম্ভাবনা নেই। এই প্রসঙ্গে হগ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সাউ জানান, বৃষ্টির সময় কমতে পারে যোগান। বৃষ্টির জন্যে গাড়ি আটকে যাবে। হুগলি থেকে বেশিরভাগ আলু আসে। এছাড়া, নষ্ট হওয়ার ভয়ে কোল্ড স্টোরজ থেকেও বের করা হয় না আলু। সেই সব মিলিয়ে আলু সংকট তৈরি হতে পারে এবং সংকট হলেই বাড়বে দাম। তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের পর সবথেকে বেশি আলু উৎপাদন হয় বাংলায়। রাজ্যে উৎপাদিত মোট আলুর ৭০ শতাংশ ব্যবহার হয়ে থাকে। বাকি ৩০ শতাংশ পাঠানো হয় ভিন রাজ্যে। মূলত, ত্রিপুরা, ওড়িশা সহ একাধিক রাজ্যে পাঠানো হয় আলু। রাজ্যে আলুর চাষ হয়ে থাকে হুগলি, বর্ধমানে। এছাড়াও, বাঁকুড়া সহ অন্যান্য জেলার একাংশে অল্প পরিমাণে চাষ হয়। রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, এবার তিনবার আলুর চাষ হয়ছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় বার বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে আলু। তৃতীয়বার চাষ হয়। ফলে, এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতি কোনভাবেই মেটানো সম্ভব নয়। তার উপর সমস্ত চাষী আলু চাষ করতে পারেনি। লোকসানের ভয়েই করেনি অনেকে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে বৃষ্টি এবং ফসলের ক্ষতির ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন কম। মোটের উপর,আলুর উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি। যোগ হয়েছে পরিবহন খরচ। সবমিলিয়ে এই দাম। আগামীদিনে দাম খুব একটা কমবে না বলেই প্রাথমিক অনুমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here