Last Updated on June 15, 2022 7:12 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। প্রাপ্য ছাড়কেই দেখান হল বিল ডিসকাউন্ট। ডিসকাউন্টে ভাওতা! ধরা পড়ায় ভুল স্বীকার। স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশে তড়িঘড়ি সফটওয়ার প্রোগ্রামিং বদলে ফেলার পরিকল্পনা। সল্টলেক আমরির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে।রোগীর নাম সুনন্দা খান্ডেলওয়াল। ৫৬ বছর। ২৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত রোগী মারা যায়। ভুল ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে আসে রোগীর পরিবার।
মোট বিল হয় ৮,৪৬,৫৬৬ টাকা। তারপর ৮৪ হাজার টাকা ডিসকাউন্ট। শেষে বিল পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রায় ৯৬ হাজার টাকা বেশি বিল করা হয়। তথ্য বিচার করে দেখা যায়, কমিশনের নির্দেশিকা মেনেই দেওয়া হয়েছে ছাড়। আলাদাভাবে হাসপাতালের তরফ থেকে ডিসকাউন্টের নামে দেওয়া হয়নি কোন ছাড়। অথচ, সেটাকেই অন্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ব্যাপারটি কমিশনের নজরে এলে, ভুল স্বীকার করে হাসপাতাল। তারপরই, নিজেদের সফটওয়ার প্রোগ্রামিং বদলের সিদ্ধান্ত নেয়। দুদিনের মধ্যে তা না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য কমিশন। এছাড়াও, সোমবার আরও একটি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় অশোক নার্সিংহোমকে।
শ্যামল কুমার ঘোষ এই অভিযোগটি আনেন। নিজের বাবাকে ভর্তি করেন। ক্রনিক কিডনি রোগী ছিলেন। ডায়ালাইসিসের জন্যে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন নানা রকমের অব্যবস্থা ধরা পড়ে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকায় হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে চিকিৎসকের ফি কয়েকগুণ বেশি হলে এক হাসপাতালকে কিস্তিতে টাকা ফেরতের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। অরুণ কুমার কন্দা, অভলন নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ আনেন।
২০২১ সালে মে মাসে করোনা চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হন। বিল খতিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসকের ফি বাবদ নেওয়া হয়েছে অনেক বেশি চার্জ। সরকারি মতে, প্রতিদিন চিকিৎসকের ফি বাবদ হাজার টাকা নেওয়ার কথা, সেখানে ৯ দিনে ৯ হাজার টাকার পরিবর্তে ৬৯ হাজার টাকা নেওয়া হয়। ওষুধের ক্ষেত্রেও দেওয়া হয়নি ছাড়।
সব হিসেব করে দেখা যায়, মোট ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, হাসপাতাল অনুরোধ করায় ৮০ হাজার টাকা মোট ৪ টি কিস্তিতে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।