Last Updated on June 24, 2023 8:22 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন । ভয়ঙ্কর ঘটনা। এ যাবৎ বাংলার রাজভবন ইতিহাসে যা ঘটেনি, সেটাই ঘটেছে। রাজভবনকে ক্রিমিনালদের সেফ হাউসে পরিণত করা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই দুজনকে চিহ্নিত করা গেছে। একজন হাড়োয়ার বাগজোরি গ্রাম পঞ্চায়েতের খুনের আসামি মোজাফির মোল্লা এবং ভাড়াটে গুন্ডা, প্রাক্তন আরএসপি কৃষ্ণপদকে রাজভবনের ২ নং ঘরে শেল্টার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও অন্তত ৪-৫ জন ক্রিমিনাল হিসেবে পরিচিতকে রাজভবনের সেফ হাউসে স্থান দেওয়া হয়েছে। রাজভবনের নিরাপত্তা কর্মী ও সাধারণকর্মীদের বলা হয়েছে এদের ভিআইপি ট্রিটমেন্টে রাখতে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজভবনকে কেন এই ধরণের সেফ হাউস বানানো হল তার ব্যাখ্যা দিতে কেউ রাজি নন। শুধু এটুকুই বোঝা যাচ্ছে, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর।
মদন মিত্রের হুঁশিয়ারি
উল্লেখ্য দিন কয়েক আগেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র জানিয়েছেন রাজভবনে করা আসাযাওয়া করছে তা দিকে নজর রাখে রাজভবনের মূল গেটগুলির বিপরীত দিকে শক্তিশালী নজরদারি ক্যামেরা রাখা দরকার যাতে কে সেখানে আসছে বেরোচ্ছে তার দিকে নজর রাখ । যায় । এছাড়াও তিনি অভিযোগ তুলে ছিলেন রাজভবনে কোনো বেআইনি অস্ত্র রাখা হচ্ছে কিনা, ক্রিমিনাল ঢুকছে কিনা, তা নিয়েও নজরদারি করা দরকার । আর ঠিক এই ঘটনার পরেই সামনে এলো রাজভবনে বসবাসকারী এমন কিছু ব্যক্তির যাদের পরিচয় বেশ গোলমেলে।
রাজভবনে কারা এরা
রাজভবন সহ নানা সূত্রে জানা গেছে এখনো পর্যন্ত অন্তত ৬ জনকে রাজভবনে রাখা হয়েছে যাদের পরিচয় ক্রমশ প্রকাশ্য । তবে এদের মধ্যে ইতিমধ্যে ২ জনের পরিচয় সামনে এসেছে। রাজভবন সূত্রে জানা গেছে এদের মধ্যে একজন হলো বামেদের ফ্রন্ট সঙ্গী আরএসপি ‘র সমর্থক কৃষ্ণপদ। তিনি দিনকয়েক আগেই রাজভবনে এসে উঠেছেন ২ নম্বর ঘরে । তবে ঠিক কেন তাকে এনে রাজভবনের মতো হাই সিকিউরিটি জোনে রাখা হয়েছে তা পদ্মপাল ২ সহ তার কাছের কয়েকজন ছাড়া এখনো কেউ জানে না ।আর প্রায় লুকিয়েই রাখা হয়েছে একে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে এর একটি ক্রিমিনাল অতীত রয়েছে বলে অভিযোগ। আরও একটি ব্যক্তি রাজভবনে রয়েছেন যার পরিচয় মোজাফির মোল্লা। হাড়োয়ার বাগজোরি গ্রামপঞ্চায়েতে তিনি নওশাদের চ্যালা বলে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আছে এখন তিনি জামিনে মুক্ত। ফলে অন্তত দুজনের পরিচয় থেকে এটা পরিষ্কার যে পদ্মপাল ২ এদের এনে রাজভাবনকে সেফহাউস বানিয়ে ফেলেছেন । রাজ্যপালের সেফহাউস বাকিদের পরিচয় প্রয়োজনে প্রকাশ্যে আনা হবে ।
বেআইনি অস্ত্র
রাজ্যজুড়ে পুলিশের নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে বেআইনি অস্ত্র, অর্থ উদ্ধারে । গোয়েন্দাবিভাগের কাছে খবর এই বেআইনি অস্ত্র, অর্থ দিয়ে ভোটের দিন সহ তার আগে পরে রাজ্যে গোলমাল লাগানোর চেষ্টা হতে পারে । এর পিছনে বাংলার বাইরের অপরাধীদের বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে যারা এসে এখানে গোলমাল পাকাতে পারে। ফলে রাজভবনে যদি সেই রকম ভাবে কোনো দুষ্কৃতী কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে রাজভবন সহ রাজ্যপালের নিরাপত্তা ও সর্বোপরি রাজ্যের বদনাম হবে । রাজভবনে এই সব ব্যক্তিদের উপস্থিতি তাই নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত সবাইকেই বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
সেফ হাউস কী
সারা পৃথিবী জুড়ে এই হাউসের চল আছে ।মূলত প্রশাসন কিছু অপরাধী ও ব্যক্তিদের সাহায্য নিয়ে থাকে যাদের নির্দিষ্ট কোনো জেল বা সরকারি জায়গায় রাখা সম্ভব হয়না নানা আইনি জটিলতার কারণে । তখন তাদের বিশেষ বাড়িতে সম্পূর্ণ বেসরকারি নিরাপত্তা দিয়ে লুকিয়ে রাখা হয় কারণ তারা পিছন ঠগেকে সাহায্য করছে ।কোনো সমস্যা হলে যারা এদের লুকিয়ে রাখে তারা জানিয়ে দেয় এদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগই নেই এমনকি এরা কারা তা নিয়েও সম্পূর্ণ নিজেদের দায় এড়িয়ে যায় । যারা এদের লুকিয়ে রাখে ও নিজেদের অবৈধ কাজে ব্যবহার করেছে এমন তথ্য লোপাট করে দেয়।