Last Updated on July 15, 2022 6:09 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।দেড় বছর আগে ঘটে যাওয়া মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়।সেই রসিকা জৈনের মৃত্যুর নেপথ্যে হাত ছিল তাঁর স্বামীর।এমনই অভিযোগ ওঠে।এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শ্বশুরবাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় রসিকার।সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন রসিকার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।তদন্তে নেমে রসিকার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ তদন্তকারীদের হাতে আসে।
তখনই বেগতিক বুঝে রসিকার স্বামী গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।সেই আবেদন খারিজ হওয়ার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টও জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।তবে কি দেড় বছর আগে কি হয়েছিল?২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়ির নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় মেলে রসিকার দেহ।পরে তাঁর মৃত্যু হয়। রসিকা আত্মহত্যা করেছেন বলে চাউর করে দেওয়া হয়।রসিকার পরিবার তাঁর শ্বশুরবাড়ির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে।
তাঁদের অভিযোগ ছিল,রসিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল।রসিকার স্বামী কুশল আগরওয়াল এই ঘটনার জন্য দায়ী। তারপর পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ আসতেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এবং ৩৯৬এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।তবে পরে এই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়।
সূত্রের খবর,রসিকার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে পুলিশের অনুমান,১৪ ফেব্রুয়ারির আগের দিন রসিকা এবং তাঁর স্বামী কুশলের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়।কুশলের প্রাক্তন বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল।যা জেনে যান রসিকা।তাই নিয়েই দু’জনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল।তারপরের দিন সকালেই তাঁকে ওই বাড়ির নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।তারপরই এই রহস্যমৃত্যুতে তদন্ত শুরু হয়।