Last Updated on March 18, 2023 2:47 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। শহরে খাপছাড়া বৃষ্টি, ঘোলাটে আকাশ। দিনে দুপুরেই ঘনাল আঁধার। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নামল স্বাভাবিকের থেকে ৮ ডিগ্রি নীচে, ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাই, ২৩.১ ডিগ্রি (আলিপুর)। যদিও, পশ্চিমের জেলা কিংবা উত্তরের পাহাড়ি জেলাকে রেহাই দেয়নি জলীয় বাষ্প। সেখানে দফায় দফায় ফিরেছে বজ্রবিদ্যুতের ঝলকানি, সঙ্গে বৃষ্টি। শুক্রবার রাজ্যের ছবিটা ছিল কতকটা এরকমই। তবে, এখনই থামছে না। এই পরিস্থিতি চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া খানিকটা উন্নতি হবে। দফতর এক বুলেটিন প্রকাশ করে জানায়, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার জন্যে রয়েছে কমলা সতর্কতা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি। ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বৃষ্টি। বাকি জেলাতেও ঝড়বৃষ্টি চলবে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। থাকছে হলুদ সতর্কতা। ৩০-৪০ কিমি বেগে বইতে ঝোড়ো হাওয়া। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায়।
১৯ তারিখও একইরকম থাকবে আবহাওয়া। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মূলত বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। ২০ তারিখ হলুদ সতর্কতা। ৩০-৪০ কিমি বেজে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। কারণ হিসেবে দফতরের এক আবহাওয়াবিদ জানান, দক্ষিণ পশ্চিম রাজস্থান এবং সন্নিহিত এলাকা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। যেটি গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে। যে কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে সমতলে। যার কারণে গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর ২০ তারিখ পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার একে একে জেলায় নেমেছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। কোথাও কোথাও বয়েছে ঝোড়ো দমকা হাওয়া। বাদ ছিল না কলকাতাও। দেরী করে হলেও রাতের দিকে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনায় নামে ঝড়বৃষ্টি। শহর ছাড়াও পুরুলিয়া, বর্ধমান, নদীয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, হুগলী, হাওড়া, জেলাতেও বৃষ্টি হয় এদিন। বাঁকুড়া, হলদিয়া, শ্রীনিকেতন, নদীয়া জেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে।উত্তরবঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপকভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা শুক্রবার। ধীরে ধীরে কমবে বৃষ্টি। আর, এইসবের মধ্যে বেশ কিছু সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। দফতর জানায়, শস্যের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি কাঁচা বাড়ির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। বজ্রপাতের সময় যাতে বাইরে কেউ না থাকে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।