Last Updated on June 10, 2022 7:52 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। পার্ক সার্কাসে ভরদুপুরে পুলিশের এলোপাথারি গুলিতে দুজনের মৃত্যু হল। তার মধ্যে একজন পুলিশ কর্মী ও একজন মহিলা বাইকআরোহীর মৃত্যু হয়েছে । আহত হয়েছেন একজন রাপিডো চালকও। চরূপ লেপচা নামে এক পুলিশকর্মী প্রতিদিনের মত শুক্রবার দুপুরেও বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসের ডিউটিতে যোগ দেয়। ডিউটিতে যোগ দেওয়ার পরই নিজের এস এল আর রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাংলাদেশ হাইকমিশনার থেকে পাক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট দিকে আসতে থাকে। প্রায় মিনিট পাঁচেক ধরেই রাস্তায় উদ্দেশ্যহীন ভাবেই গুলি চালানোর পর নিজে আত্মঘাতী হয় চরূপ লেপচা নামে ওই পুলিশ কর্মী। উদ্দেশ্যহীনভাবে এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর পেছনের কারণ পুলিসকর্মীর মানসিক সমস্যা ছিল বলেই মনে করা। না হলে এভাবে ভরদুপুরে নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে সাধারণ মানুষের উপরে নির্বিচারে গুলি চালানো সম্ভব নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারের অফিস থেকে মা উড়ালপুলের নিচের সার্কাস এভিনিউ ধরে এগিয়ে আসতে থাকে ওই পুলিশ । প্রায় ১০ রাউন্ড গুলি চলে। ওইভাবে গুলি চলতে দেখে রাস্তার আশপাশের লোক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। যে যার মতো লুকিয়ে পড়ে। সেইসময় একটি বাইকের পিছনে ছিলেন এক মহিলা, তার গায়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনায় একজন রেপিডো বাইক চালক এর পিঠেও গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এমনকি বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনেই একটি গাড়ি লক্ষ্য করে উদ্দেশ্যহীনভাবে গুলি চালায় । যদিও শেষ পর্যন্ত নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে চরূপ লেপচা।
তবে তার পরিচয় প্রথমে জানা না গেলেও করে জানা যায়। তার গলার কাছে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। ইকবাল আহমেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দোকানের ভেতরে ছিলাম হঠাৎ করে গুলির আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখি একজন পুলিশ কর্মী নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম খেলনা বন্দুক তারপর দেখলাম গুলি লেগে রাস্তায় পড়ে গেল একজন বাইকের চালক। ভয় পেয়ে আমরা দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়ি। প্রায় দশ পনের মিনিট বাদে দেখি গুলির আওয়াজ থেমে গিয়েছে।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কড়েয়া থানার পুলিশ ও লালবাজারের পুলিশ আধিকারিকরা। মৃত পুলিশ কর্মীর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে এই পুলিশকর্মী ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটলো তা স্পষ্ট না হলেও মনে করা হচ্ছে মানসিক অবসাদ এর জেরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে করেয়া থানার পুলিশ। তার আগের ট্র্যাক রেকর্ড দেখা হচ্ছে। এমন ঘটনা আগে ঘটিয়েছিল কিনা। তবে মানসিক রোগের কারনেই চরূপ লেপচা নামে পুলিশকর্মী এভাবে সাধারণ মানুষের উপরে উদ্দেশ্যহীনভাবে গুলি চালিয়েছে বলেই মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরাও।