Last Updated on March 3, 2023 9:29 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যের কোথায় কি! তার আগেই হিপো কুমার মুখ লুকচ্ছে তার বাথটাবে। হাতির ঘরেও সেই দৃশ্য, সঙ্গীর সঙ্গে মেতেছে জলকেলিতে। আর এদিকে, বাঘ মশাই। তিনিও নেমে পড়েছেন হাঁটু সমান জলে। শুরুতে বাবুকে দেখা গেল খানিকটা মনমরা। ভালুক ছানা অবশ্য বেজায় খুশি। খুশি হাতি পরিবারও। হবে নাই বা কেন? গরমের শুরুতেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় বদলে যায় সকলের ডায়েট প্ল্যান। লাঞ্চ কিংবা ডিনার এখন একেবারে মনের মত। খিচুড়ি ছেড়েছে হাতির দল। বদলে কলাপাতায় মোড়া চাল ভেজানো খেয়ে বেজায় উল্লাস। আর, ভালুক ছানা পেয়েছে দই ভাতের স্বাদ। সবমিলিয়ে, গরমের ক্রমাগত বাড়ন্ত গ্রাফ আর বদলের খাদ্য তালিকায় ব্যস্ত আলিপুর চিড়িয়াখানায় অন্দরমহল। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর তাপস দাস জানান, তাপমাত্রার কারণে যাতে কোনভাবেই তারা অসুস্থ না হয় পড়ে, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হয়। গ্রীষ্মের সময় প্রচুর ফল পাওয়া যায়। সেই হিসেবে বেশি পরিমাণে ফল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া, ভালুককে দুধ ভাত, হাতিকে কলাপাতায় করে চাল খাওয়ানো হচ্ছে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, অতিরিক্ত গরমে, তাপপ্রবাহ শুরু হলে অনেক সময় পশুপাখিদের খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়ে। প্রতিবারের মত বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, জাগুয়ার, শিম্পাঞ্জিকে সকাল সকাল স্নান করানো হবে। যাতে কিছুটা স্বস্তি পায় তারা। আর একটু গরম বাড়লে সরীসৃপ প্রাণীর এনক্লোজারগুলোতে দেওয়া হবে ফ্যান। পাখিদের ঘরগুলোতে জলের স্প্রে করা হয়। শেড করে ঘিরে দেওয়া হয়। যাতে রোদের চড়া কিরণ থেকে তারা দূরে থাকতে পারে। এতো গেল পাখিদের কথা। শিম্পাজিকে দেওয়া হয় রসালো ফল। উদারহন হিসেবে উল্লেখ করা যায়, তরমুজ, শশা ইত্যাদি। এছাড়াও, মাংসাশী প্রাণীদের শীতে যে পরিমাণ মাংস দেওয়া হত, সেটার পরিমাণ গরমে কমিয়ে দেওয়া হয় অনেকটাই। জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয় ওআরএস। মানুষের মতই প্রাণীদের শরীরেও এই সময় জলের ঘাটতি দেখা যায়। তাই, ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করার জন্যেই এই ব্যবস্থা।