Last Updated on September 26, 2023 12:57 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। ডিমের দাম বাড়লো জোড়াতে ১ টাকা করে। অর্থাৎ এবার ডিম কিনতে গেলে এক একটা ডিমে দিতে হবে বাড়তি ৫০পয়সা বেশি। নিয়মিত বাজারদরের ওঠা নামায় ডিম ছিল সস্তায় পুষ্টিকর একটা খাবার। তবে সেখানেও মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের এবার প্রাথমিক পুষ্টিতেও টান পড়তে পারে। দৈনন্দিন বাজারে যাদের মাছ বা মাংস কেনার সামর্থ থাকে না তারা তাদের নিউট্রিশনের জন্য ডিমকেই ভরসা করে বেঁচে থাকে। কারণ ডিমে থাকে একটি পরিণত মানুষের প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত প্রোটিন। যা ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা প্রত্যেকেই খেতে পারে। কোন ব্যক্তি খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে বা শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে ডাক্তারা পরামর্শ দেয় অন্ততপক্ষে রোজ একটি করে ডিম খাওয়ার জন্য।
যাতে ওই ব্যক্তি শরীরে একটি সঠিক নিউট্রিশন যুক্ত এবং সঠিক প্রোটিনে পরিপূর্ণ একটি উপাদান তার শরীরের যায়। পাশাপাশি যারা নিজেদের শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত শরীর চর্চা করেন তারাও নিজেদের খাদ্য তালিকার মধ্যে ডিমকে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে দেখে। যারা নিজেদের ওজনকে খুবই তৎপরতার সাহায্যে মেনে চলে এবং তার জন্য কঠিন ডায়েট চার্ট ফলো করে তাদের ডায়েটেও বিশেষ করে উল্লেখ করা থাকে ডিমের। এছাড়াও বাঙালির ঘরে ঘরে ডিমকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন স্বাদে খাওয়া হয়ে থাকে।
ফলে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় যারা ডিমের প্রেমী তাদের তো রোজ ডিম কিনতে গেলে সমস্যা হবেই এছাড়াও যাদের শারীরিক নিউট্রিশনের জন্য ডিম প্রয়োজন হয় তাদেরও এবার দোকানে গেলে ভাবনা চিন্তা করতে হবে। কয়েক বছর আগে ডিমের যা দাম ছিল তা সময়ের নিয়মে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭টাকায়। সম্প্রতি ডিমের দাম ৭ টাকা ৫০ পয়সা হওয়ায় প্রায় বেশিরভাগ মানুষের পকেটেই এবার টান পড়বে। যারা মুখরোচক হিসেবে ডিমের ওমলেট ডিমের পোচ ইত্যাদি বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন তাদেরও এবার একটু সমঝে চলতে হবে। ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সব থেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হবে ছোট বাচ্চারা। কারণ তাদের নিয়মিত নিউট্রিশন এবং সঠিক প্রোটিনের মাত্রা বজায় রাখতে বাবা মায়েরা তাদের ডিম খাওয়ানোকেই উচিত বলে মনে করে। কিন্তু এই ভাবে দিনের পর দিন ডিমের দাম বাড়তে থাকলে সমাজের বহু মানুষ বাদ পড়বে প্রাথমিক নিউট্রিশন থেকে।