Last Updated on June 25, 2023 1:14 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। শূন্যতা কাটছে। বাজারে দেখা মিলছে উধাও হওয়া পার্শে, ভেটকি, পমফ্রেটের। তবে, দামের ক্ষেত্রে আসেনি কোন পরিবর্তন। সেই ৬০০ থেকে ৮০০ তেই আটকে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, আগামী দিনে আরও মাছ ঢুকবে বাজারে। সেই সময় আরও কিছুটা হলেও কমার সম্ভাবনা। মানিকতলা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবলু দাস জানান, আগের থেকে কিছুটা হলেও বেড়েছে মাছের যোগান। তবে, দাম এখনও বেশি। পমফ্রেট ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, ভেটকি ৭০০ টাকা, পার্শে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি। গ্রীষ্মের শুরু থেকেই বাজারে একটু একটু করে কমতে শুরু করেছিল মাছের যোগান। বেশিরভাগ বাজার থেকে উধাও হয় বড় পার্শে মাছ। থাকলেও ছোট। দাম ছিল ৬০০ টাকা কেজি। পাবদা ছিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
টাটকা পমফ্রেট বাজারে ছিল না একেবারেই।শুধুমাত্র কোল্ড স্টোরেজের মাছ দিয়েই চলছিল বেচাকেনা। তাই, মাছে ভাতে বাঙালির ভরসা ছিল রুই, কাতলাতেই। রুই কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। বাজারের সাধারণ সম্পাদক বাবলু দাস জানান, নদী নালা সব শুকিয়ে যাওয়ার কারণে প্রতিবছর এই ঘটনা ঘটে। মালঞ্চ, বসিরহাট, ক্যানিং, রায়দীঘি থেকে মাছের যোগান আসে। সেই সব মাছ খুব কম আসছিল। এই সময়টায় নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। সেই কারণেও যোগান নেই।
এই প্রসঙ্গে এক ব্যবসায়ী জানান, ইলিশ প্রজনেরর কারণে কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকে মাছ ধরা। সম্প্রতি, সেই বিধিনিষেধ শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরোচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। ফলে, মোহনায় আসছে টাটকা মাছ। সেই মাছ বাজারে কিছু কিছু আসছে। পাশপাশি, গরমের কারণে পুকুর, খাল, বিল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে মাছ সেভাবে ধরাও যাচ্ছিল না। ফলে বাজারে অর্ধেকের বেশি মাছই পাওয়া যাচ্ছিল না। হাতেগোনা মাছের কারণেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল দাম। ধীরে ধীরে সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।