Last Updated on February 20, 2023 12:24 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। রবিবাসরীয় বাজারে কিছুটা ফিকে মাছ বাজার। পরিবর্তে, লম্বা লাইন চিকেনে। তাহলে কি ভোজন রসিক বাঙালি স্বাদ বদলে ব্যস্ত? উত্তর এক বিক্রেতা জানাচ্ছেন, বিষয়টা একেবারেই তেমন নয়। বরং, চিকেন আপাতত কিছুটা সস্তা। দাম নেমেছে দুশোর নীচে। কোথাও ১৮০ আবার কোথাও ১৯০ টাকা। কোথাও একটু বাড়িয়ে ২০০। সবমিলিয়ে, গত কয়েক মাসে বেশ কিছুটা কম। সেজন্যেই মানুষের মধ্যে আবার চিকেনের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া, রবিবার মানুষের মধ্যে চিকেন আসক্তি একটু বেশিই থাকে।
অন্যদিকে, ভোলানাথ বাবু মানিকতলা বাজারে বিক্রেতা জানান, মাছের দাম সেভাবে কমেনি। রুই কাতলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। বাকি পার্শে, পাবদা, ভেটকি কিংবা চিংড়ি সবকিছুই মোটামুটি ৪০০ থেকে ৬০০। সেদিক, থেকে চিকেন তুলনামূলক অনেক কম দাম। ফলে, মানুষের মধ্যে চাহিদা বেড়েছে। আরও, একটি কারণ, শীতের মরশুমে পিকনিক, বিয়েবাড়ি ইত্যাদি থাকায় চাহিদা অনেকটাই বেশি থাকে। এবার, সেই চাহিদা কিছু অংশে কমছে এবং গরম বাড়াও একটি কারণ। সবমিলিয়ে, যোগান বেশি, চাহিদা তুলনামূলক কমে যাওয়ার কারণে আপাতত সাময়িক কিছুটা স্বস্তি। দিন দশেক ধরে চলছে এই দাম। উল্লেখ্য, শীতের উইকেন্ডগুলিতে বিক্ষিপ্ত এলাকায় বেড়েছিল চিকেনের দাম। কোথাও কোথাও ২৩০ কিংবা ২৪০ এও।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর, প্রায় ৩০০ কাছে পৌঁছে যাওয়া চিকেনে দামে লাগাম লাগে। তারপর, একেবারে ২০০ এর নীচে নেমে যায় চিকেনের দাম। এরপর, কিছুটা বেড়ে ২০০ কিংবা ২১০ এই আটকে ছিল কেজি। এই প্রসঙ্গে হগ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, শীতের সময় মানুষ চিকেন, ডিম এসব বেশি খায়। কিছু না কিছু লেগেই থাকে। পিকনিক চলছে চারিদিকে। সেগুলোর জন্যে দরকার পড়ছে একটা বড় পরিমাণ যোগান। আর, চাহিদা বাড়লেই দরকার হবে, একসঙ্গে অনেক চিকেন। কিছু কিছু ব্যবসায়ী এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। একটু বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে। তিনি যোগ করে বলেন, এছাড়া এখনও চলছে বিয়ের সিজন। সেই কারণে কিছু কিছু জায়গায় দাম বেড়ে যাচ্ছে। এর আগে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেখা গিয়েছিল এই অবস্থা। যোগান কমের কারণে বেড়ে যায় চিকেনের দরদাম। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই শুধুমাত্র চাহিদাকে কেন্দ্র করে বাড়ে দামের তালিকা। ২০ থেকে ২৫ টাকা। একদল ব্যবসায়ী বেশি মুনাফা লাভের জন্যে সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে মুরগির মাংস।