Kolkata Market: জামাইষষ্ঠীর আগে ফের বাড়ল মাটন এর দাম

0

Last Updated on May 22, 2023 1:23 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। কখনও শাক-সবজি, কখনও মাছ, মাংস-ডিমের দড়ি টানাটানি। এর মাঝেই চুপিসারে মাটন সাড়ে আটশো। জামাই আপ্যায়নের আগেই একি অবস্থা! বাজারে গিয়ে হতবাক ক্রেতারা। গত বছর পুজোর সময় থেকে সাড়ে সাতশ পেরোয় মাটন। দুর্গা পুজো শেষ হলেও মাটনের দামে আসেনি পরিবর্তন। এই আটশো দামেই চলতে থাকে বেচাকেনা। সেই দাম এখন ঠেকেছে সাড়ে আটশোতে। এই প্রসঙ্গে মানিকতলা বাজারের যুগ্ম সম্পাদক বিজয় সাউ বলেন, পাঁঠার মাংস এখন সাড়ে ৮০০ চলছে। দোলের পর সেভাবে কমেনি দাম। এই দাম আপাতত কমার সম্ভাবনা কম। তিনি আরও জানান, পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। যে কারণে দাম অনেক বেশি। দোলের সময় রাতারাতি বদলে যায় মাটনের দাম।

দোলের আগের দিন সেই দাম পৌঁছে যায় ৮২০ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা বলেন, এই মাটন ৮২০ থেকে ৮৫০ হবে একরাতের ব্যবধানেই। তাঁদের বক্তব্য, উৎসবের দিনগুলোতে দাম বেশি থাকলেও মাটনের চাহিদা থাকে ভালরকমই। সেই সুযোগেই বিক্রেতারা ৫০ থেকে ১০০ টাকার মত বাড়িয়ে বিক্রি করে থাকেন। এবারও, তার বাইরে কিছু হবে না।এই প্রসঙ্গে কোলে মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, মূলত পাঁঠার মাংসের যোগান কমে হওয়ার কারণেই দাম বেড়ে যায়। রাজ্যের মোট চাহিদার ৩০ শতাংশ আসে রাজ্য থেকে, বাকি ৭০ শতাংশ প্রতিবেশী রাজ্য থেকে আসে।

মূলত, বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকেই বেশিরভাগ পাঁঠার মাংস যোগান আসে। তিনি যোগ করে বলেন, সেই সব জায়গা থেকে যোগান কম ঢুকলে হঠাৎ করেই বাজারে বেড়ে যায় দাম। এই প্রসঙ্গে হগ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, অনেক দিন আগেই ৮০০ এর সূত্রপাত হয়েছে। সবকিছুর দাম বাড়ছে, মাটনই বা পিছিয়ে থাকবে কেন। উৎসবের মরশুমে এমনিতেই দাম বেশি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে এক ব্যবসায়ী মাটনের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানান, ইউপি থেকে রাজ্যে মাটনের সিংহভাগ যোগান আসে।

কিন্তু, একপক্ষের ক্রমাগত মদতে, সেখানে বাড়ানো হচ্ছে মাটনের চাহিদা। কারণে, স্থানীয় মাংসের বাজার ক্রমাগত কমিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে কৌশলে। যে কারণে, সেখানের স্থানীয় মানুষরা ভরসা রাখছেন মাটনে। ফলে, সেখানে মাটন যোগান সীমিত হয়ে পড়ছে, দাম বাড়ানো হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই এ রাজ্যেও যোগান এবং দাম বেশির অবস্থা টালমাটাল।রবিবার মানিকতলা বাজারের এক ক্রেতা জানান, মানুষ উৎসবের দিনগুলো একটু ভাল করে আনন্দ করে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করবে। তারও উপায় নেই। ঠিক দিনগুলোতেই লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে দাম। মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে এই দামে। গত বছর পুজোতেই মাটন পেরিয়েছে ৮০০। নিউ ইয়ার পর্যন্ত স্থায়ী হয় সেই দাম।