Last Updated on March 18, 2023 3:07 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। মাঠ টু কোল্ডস্টোর, এখনও জ্যোতি-শূন্য বাজার। যোগানে অভাব নেই। তবুও, বাজারে বাড়ছে জ্যোতি আলুর দাম। খুব বেশি না হলেও চুপিসারে মাঝেমধ্যেই কেজিতে বাড়ছে দু থেকে তিন টাকা। কোথাও কোথাও দমকা ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। দীর্ঘদিন আলু নিয়ে টানাপোড়েন চলার পর কিছুদিন যাবত ১০ এর ঘরে নেমে যায় আলুর দাম। তারপর, থেকে মধ্যবিত্তের এই উপকরণ ছিল সহজলভ্যই। কিন্তু, ইদানিং সেই সস্তার খাবারটিতেও দামের অস্বস্তি। যদিও, আপাতভাবে নেই কোন যোগানে টান। তবে, আলুর দাম বৃদ্ধি কেন? এই প্রসঙ্গে রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের এক সদস্য জানান, এখন আলু কোল্ড স্টোরে রাখার কাজ চলছে। এই সময়টায় দাম একটু বেশি। কারণ, ব্যবসায়ীরা কোল্ডস্টোরে জায়গা কিনে রাখে। মাঠ থেকে আলু ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই চলে যাচ্ছে স্টোরে।
যে পরিমাণ আলু বাজারে আসার কথা, সেটাও মুনাফা লোটার আশায় চলে যাচ্ছে ঠান্ডা ঘরে। যে কারণে বাজারে সঠিক পরিমাণে আলু পৌঁছাচ্ছে না। সেই কারণেই মাঝেমাঝে বেড়ে যাচ্ছে দাম। এদিকে, অবশ্য জ্যোতি আলুর সঙ্গে বাজারে বিক্রি হচ্ছে পোখরাজ, এসওয়ান আলু। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের এক সদস্য জানান, জ্যোতি আলু সাধারণত ডিসেম্বরে চাষ করা হয়। মার্চ মাসে ওঠা শুরু হয়। তারপর, সেই আলু পাঠানো হয় কোল্ডস্টোরে। আপাতত, বাজারে বিক্রি হচ্ছে পোখরাজ, এসওয়ান আলু। এগুলো সাধারণত অক্টোবর নভেম্বর মাসে চাষ হয় এবং একমাস থেকেই ওঠা শুরু হতে থাকে। এবং এইসময়টা বাজারে জ্যোতি আলুর শুন্যতা পূরণ করে থাকে। তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ৭০ শতাংশ আলু জ্যোতি আলু। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পেসওয়ান, পোখরাজ আলু। চন্দ্রমুখী ৫ শতাংশ।উত্তরপ্রদেশের পর সবথেকে বেশি আলু উৎপাদন হয় বাংলায়। রাজ্যে উৎপাদিত মোট আলুর ৭০ শতাংশ ব্যবহার হয়ে থাকে। বাকি ৩০ শতাংশ পাঠানো হয় ভিন রাজ্যে। মূলত, ত্রিপুরা, ওড়িশা সহ একাধিক রাজ্যে পাঠানো হয় আলু। রাজ্যে আলুর চাষ হয়ে থাকে হুগলি, বর্ধমানে। এছাড়াও, বাঁকুড়া সহ অন্যান্য জেলার একাংশে অল্প পরিমাণে চাষ হয়। ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, আগে জ্যোতি আলু সংরক্ষণ করা হলেও পোখরাজ, এসওয়ান এইসব আলু কোল্ড স্টোরজে রাখা হত না। কিন্তু, এখন জ্যোতি আলুর সঙ্গে এইসব আলুও সংরক্ষণ করা হয়। মূলত, বাজারে জ্যোতি আলুর সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করা হয়। ডিসেম্বরের শেষ থেকে এই ধরনের আলু তোলার কাজ শুরু হয়।