Last Updated on June 24, 2022 4:24 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। পোশাকি মরশুম শেষ! তবুও, ঝালে ঝোলে অম্বলে, সবেতেই সে। শীত পেরিয়েও টমেটোর চাহিদায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। কিন্তু, হঠাৎই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি।কারণ জানিয়ে কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, রাজ্যে উৎপাদিত টমেটো শীতেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু, সারাবছরই টমেটোর চাহিদা থাকে। আর, সেই যোগানের বেশিরভাগ আসে ব্যাঙ্গালুরু থেকে। এবার ব্যাঙ্গালুরুতে উৎপাদন কম হয়েছে।
ফলে, সেখান থেকেই কম আসছে। সেই কারণেই দাম অনেকটাই বেশি। মাঝেমধ্যেই আমদানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেই সময় একধাক্কায় মজুত টমেটো অনেক দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। তিনি আরও জানান, টমেটো বাজারে ১০০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি করা হচ্ছে। কখনও কম বেশি হলেও ১০ থেকে ১৫ টাকা। কিন্তু, এর বেশি তারতম্য হচ্ছে না। বিক্রেতাদের বক্তব্য, মরশুমের ফসল মরশুমের সময়ই কম দামে পাওয়া যায়। কারণ, প্রচুর ফলন।
সিজন শেষ হলে আবার সেই জিনিসই দাম কিছুটা বেড়ে যায়। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, এবারে অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি টমেটোর দাম। অন্যদিকে, চলতি মরশুমে ১৫-এ তে ফিরছে না জ্যোতি, চন্দ্রমুখী থাকবে ৩০ এর উপরেই। ১৫ টাকার দিন শেষ। একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দোকানিরা। পরিস্থিতি অনুযায়ী বাড়লেও কমার কোন সম্ভাবনা নেই। রাতারাতি বাড়লেও বাড়তে পারে। যেমন দুদিন আগেই ২৮ এ পৌঁছে গিয়েছিল জ্যোতি আলু। চন্দ্রমুখী তো নাগালের বাইরেই।
এর আগে লেবু নিয়ে চলেছিল মাতামাতি। রাতারাতি পাতি লেবুর দাম বেড়ে পৌঁছায় ১০ টাকা পিস। যা দেখে চোখ কপালে ওঠে মধ্যবিত্তের। গন্ধরাজ এবং কাগজি লেবুকে টেক্কা দিয়েছিল। সেই সময় পাতি লেবুর খামতি পূরণ করেছিল রাজ্যের উৎপাদিত গুঁড়া লেবু। এছাড়াও, উৎসবের আমেজে মূল্যবৃদ্ধির অসুখ বরাবরই। উৎসবের সপ্তাহ শুরু মানেই সাধারণ সবজি নাগালের বাইরে। ফলে, সব দিক থেকেই পকেটে চাপ বাড়ছে মধ্যবিত্তের।