Last Updated on June 20, 2022 6:26 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।দক্ষিনবঙ্গে ঢুকছে বর্ষা।তবে এই সময় শহরের ত্রিফলাগুলি কি পরিস্থিতি রয়েছে,নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা।পুরসভা সূত্রে জানা গেছে,সারা কলকাতা শহর জুড়ে বেহাল ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের পরিস্থিতি।কী হাল ত্রিফলার? রিপোর্ট চাইলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন,সব বাতিস্তম্ভ আবার চেক করে রিপোর্ট দিতে বলেছি।বেশ কিছু অপরাধী বাতিস্তম্ভের ঢাকনা ভেঙে দেয়।এলাকার বাসিন্দাদের তাতে বাধা দিতে হবে।
জানা গিয়েছে,ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের জয়েন্ট বক্সের তার খোলা নিয়ে পুর কমিশনারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন ফিরহাদ।শহরে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের জয়ন্ট বক্স কোথায় কীভাবে খোলা এ সমস্ত কিছুই থাকবে ওই রিপোর্টে।তারপর পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের বলা হবে ব্যবস্থা নিতে।এর আগে তার যাতে বাইরে বেরিয়ে না আসে তার জন্য ওই জায়গা সেলোটেপ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল।সেই একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কি নতুন ঢাকনা লাগানো হবে।সেটা ভেবে দেখা হবে।
কলকাতাতে একাধিক জায়গায় খোলা পড়ে রয়েছে ত্রিফলার জয়েন্ট বক্সগুলি।শহরের বিভিন্ন অংশে বিপজ্জনকভাবে খোলা রয়েছে তার।গিরীশ পার্ক, পাইকপাড়া, রাজা মনীন্দ্র রোডে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি থেকে বেরিয়ে রয়েছে তার।দেওধর স্ট্রিট, রাজাবাজার, সায়েন্স কলেজের সামনেও খোলা অবস্থায় রয়েছে তার।এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা।পুরসভা দ্রুত ব্যবস্থা নিক, এমনই দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে. খুব দ্রুত বর্ষা ঢুকছে।ফলে ত্রিফলার খোলা তারে বাড়েছ চিন্তা।গত বছর বর্ষায় কলকাতা, হাওড়া ও আরও কিছু জায়গায় ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।উল্লেখ্য,কলকাতায় প্রায় ১২ হাজারের অধিক ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ লাগানো হয়েছিল।খরচ হয় ২৭ কোটি টাকা।তবে ত্রিফলা আলো প্রথম থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে।দরপত্র ছাড়া বাজারদরের তুলনায় বেশি দামে ওই আলো কেনায় তৃণমূল বোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।তবে এখন দেখার বিষয় এই রিপোর্টে ঠিক কী ফলাফল আসে।