৩৬৫ দিন। ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে মোদি সরকারের বিরোধীতায় সরব হল বাংলা, বিহার সহ ১৪ টি রাজ্য। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এম এস পি নিয়ে শুধু যে অ-বিজেপি রাজ্য গুলো সরব হয়েছে তা নয়, একাধিক ভাজপা শাসিত রাজ্য-ও জানিয়েছে কেন্দ্রের নির্দিষ্ট করে দেওয়া ধানের সহায়ক মূল্য নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাদের। যার মধ্যে মোদি অমিত শাহের নিজের রাজ্য গুজরাত-ও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক সূত্রে খবর, যে ১৪ টি রাজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে ধানের সহায়ক মূল্য নিয়ে সহমত নয় তারা হল, বাংলা, বিহার, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ,ঝাড়খণ্ড, ছত্তীশগড়, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কেরল, জম্মু ও কাশ্মীর এবং আন্দামান ও নিকোবর ( কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল)। এর মধ্যে ১৩ টি রাজ্য সহায়ক মূল্য বাড়ানোর কথা বললেও জম্মু-কাশ্মীর আবার চায় সহায়ক মূল্য কমানো হোক।
গত 8 জুন চলতি অর্থবছরের জন্য সাধারণ ধানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার সহায়ক মূল্য 2040 টাকা এবং উন্নত মানের ধানের জন্য 2060 টাকা ধার্য করে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া এই সব মূল্যেই আপত্তি একাধিক রাজ্যের যার মধ্যে বিজেপি শাসিত বেশকিছু রাজ্য রয়েছে তাদের বক্তব্য সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা নিতান্তই যৎসামান্য এতে কৃষকের চাষের খরচ বাদ দিয়ে লাভের পরিমাণ সামান্যই থাকবে সুতরাং এই সহায়ক মূল্য বাড়াতে হবে ধানের সবচেয়ে বেশি সহায়ক মূল্য দাবি করেছে তেলেঙ্গানা।
তাদের দাবি কৃষকদের ধানের কুইন্টাল প্রতি সহায়ক মূল্য 4513 টাকা দিতে হবে কারণ দক্ষিণের এই রাজ্যে এমনিতেই জলের সংকট তাই চাষের খরচ অনেক বেশি সুতরাং সহায়ক মূল্য বাড়াতে হবে। বাংলা দাবি জানিয়েছে কুইন্টাল প্রতি ধানের সহায়ক মূল্য কমপক্ষে ২৪৭০ টাকা করতে হবে। যদিও রাজ্যগুলো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক এখনও ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে সূত্রের খবর।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে ও বিজেপি রাজ্য বরাবরই দাবি করে এসেছে মোদি সরকার মোটেই কৃষক দরদী সরকার নয় কৃষি আইন নতুনভাবে এনে কৃষকের সর্বনাশ করতে চাইছে দেশজুড়ে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যে আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় মোদি সরকার সুতরাং এই সমস্ত রাজ্যগুলির মোদি সরকারের বেঁধে দেওয়া ধানের সহায়ক মূল্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করবে তা স্বাভাবিক কিন্তু যেভাবে একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য সড়ক মূল্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করছে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ কৃষক আন্দোলনের নেতাদের দাবি কেন্দ্রীয় সরকার যেসব মূল্য ধানের ক্ষেত্রে বেঁধে দিয়েছে তা অত্যন্ত কম বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলো বুঝতে পারছে ধানের এই সহায়ক মূল্য থাকলে কৃষকদের সমর্থন তাদের বিপক্ষে যাবে তাই বাধ্য হয়ে তারা বিরোধিতার পথে হাঁটছে তবে সবাই আইওয়াশ হয়ে থাকতে পারে।