Last Updated on September 11, 2021 12:32 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। এবার ত্রিপুরা। বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার নিশ্চিত করার পরেই ভাজপা শাসিত প্রতিবেশী ত্রিপুরা দখল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেইমতো গত মাসেই ত্রিপুরায় পৌঁছে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে অভিষেক প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন আগামী ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ভাজপাকে হারিয়ে সরকার গঠন করবে তৃণমূল। কিন্তু এরপর থেকেই ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের ছাত্র ও যুব নেতাদের ওপর এ বারে বারে আক্রমণ চালিয়েছে ভাজপা আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তবে এর পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ত্রিপুরার ভাজপা সমস্ত বিরোধীদলের উপরে আক্রমণ চালিয়ে চলেছে। বাদ যায়নি ত্রিপুরার শাসকদল ভাষার সমালোচনা করা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। এমনিতেই বিপ্লব দেব এর ওপরে অসন্তুষ্ট ত্রিপুরার প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন এবং তার নেতৃত্বাধীন অন্তত ১২ ভাজপা বিধায়ক প্রকাশ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। যোগাযোগ করেছেন তৃণমূলের যোগ দেওয়ার বিষয়েও।
এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় দলের ইউনিট খোলার পর থেকে প্রথম বড় কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আগরতলায় বিশাল পদযাত্রা করার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এই পদযাত্রায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন কিছুদিন আগেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মহিলা সভানেত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করা সুস্মিতা দেব এবং ত্রিপুরার স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি বাংলা থেকে এক ঝাঁক তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়ক। যদিও ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের উপরে ভাজপা নৃশংস আক্রমণের পরেও দলের প্রথম সারির নেতারা পাশে না দাঁড়ালে বীতশ্রদ্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ভাজপা সরকারকে ত্রিপুরা থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে তৃণমূলে যোগ দিতে চান বহু বামপন্থী নেতা। যার মধ্যে অন্তত ২ সিপিএম বিধায়ক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ প্রকাশ্যে দাবি করেছেন ত্রিপুরার অন্তত ১২ ভাজপা বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করে চলেছেন। ভাজপা এবং সিপিএমের এই সমস্ত বিক্ষুব্ধ নেতারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আগরতলায় তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।