Last Updated on October 30, 2021 10:38 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। আতঙ্কের নাম অভিষেক! থরহরিকম্প ত্রিপুরার ভাজপা সরকার। রবিবার অভিষেকের ত্রিপুরা সফর রুখতে কোন কসুরই বাকি রাখছে না বিপ্লব দেবের প্রশাসন। সভার স্থান পরিবর্তন করে মঞ্চ খুলে দেওয়ার পর এবার সফরের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে ভিন রাজ্য থেকে ত্রিপুরায় ঢোকার ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হল। শনিবার ত্রিপুরা সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, ৩০ অক্টোবর থেকে ত্রিপুরায় প্রবেশ করতে গেলে আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হল। শুধু বিমান কিংবা রেল নয় সড়কপথেও চুড়াইবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করতে গেলে প্রত্যেককে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে।উল্লেখযোগ্যভাবে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ,কেরল, হিমাচল প্রদেশ ,সিকিম, মনিপুর, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ ও নাগাল্যান্ডের ক্ষেত্রেই এই করোনা রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাংলায় কোভিড পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের নিচে।মাত্র ২.৮ শতাংশ। তাহলে আচমকা এই নির্দেশিকা কেন? তৃণমুলের দাবি, ত্রিপুরায় আগামীকাল অভিষেককে আটকাতে বাংলা সহ ৯ রাজ্য থেকে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করল বিপ্লব দেবের সরকার।
বিজেপি ভয় পেয়ে উন্মাদ হয়ে গেছে। অভিষেককে আটকানো যাবেনা। শুধু তাই নয়, যেনতেন প্রকারে অভিষেকের সভা বানচাল করতে চাইছে ত্রিপুরার বিপ্লব দেবের সরকার। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রবিবার ত্রিপুরার রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভা করবেন অভিষেক। সেইমতো পুলিশ প্রশাসনের অনুমতির জন্য আবেদনও করে তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার দুপুরে রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভা করার জন্য প্রশাসনের তরফে তৃণমূলকে অনুমতি দেওয়া হলেও ঠিক তার এক ঘণ্টার মধ্যেই ত্রিপুরা সরকার জানায় রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভা করতে দেওয়া যাবে না। সভাস্থল বদল করতে হবে আস্তাবলের মাঠে। ততক্ষণে রবীন্দ্র ভবনের সামনে মঞ্চ বাধার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। ওই মঞ্চ খুলে ফেলে দেওয়া হয়। কি কারনে এই সভাস্থল বদল করা হচ্ছে তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ত্রিপুরা পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে কুনাল ঘোষ সুস্মিতা দেব সুবল ভৌমিকদের নেতৃত্বে শনিবারই বিকেল থেকেই রবীন্দ্র ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও টার্গেট করা হয়েছে। অভিষেকের সভা সুষ্ঠুভাবে না করা যায় তার জন্য আগামীকালই থানায় হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, কুনাল ঘোষ নাকি ত্রিপুরার সম্প্রীতি নষ্ট করছে।