Last Updated on August 8, 2021 12:36 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। আগরতলা। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার। গত সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির যাওয়ার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা চালানোর পরে এবারে ত্রিপুরা ভাজপার আক্রমণের টার্গেটে তৃণমূলের যুব নেতৃত্ব।
আজ সকালে ত্রিপুরায় আক্রান্ত হন তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু-সুদীপ ও জয়া। জানা গিয়েছে, দলীয় কর্মসূচিতে আমবাসা যাওয়ার পথে এক দল ভাজপা কর্মী তাদের উপর চড়াও হয়। ইঁট পাথর ছোঁড়া হয় তাঁদের দিকে, গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয় দেবাংশু সুদীপদের। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে আগামীকাল রবিবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অভিষেক। অভিযোগ বাঁশ, রড দিয়ে এদিন সকালে তৃণমূল যুব নেতাদের আক্রমণ করা হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল যুব নেতা সুদীপ রাহা। রক্তাক্ত অবস্থায় জয়া ও সুদীপকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। আক্রান্ত হয়েছেন দেবাংশুও। ঘটনায় পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে ধর্নায় বসেছেন সুদীপ ও দেবাংশুরা।
নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থাকা ত্রিপুরা পুলিশের চোখের সামনেই ভাজপার এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে ভাঙ্গা গাড়ি ও আক্রান্ত তৃণমূল নেতাদের ছবি পোস্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের গুণ্ডারাজের স্বরূপ সামনে চলে এসেছে। বিজেপির গুণ্ডারা এবার নিজেদের রূপ দেখাচ্ছে। বিপ্লব দেব সরকারের অধীনে ত্রিপুরায় গুন্ডারাজ চলছে, তা আজকেই প্রমাণিত হল। এই ধরনের আক্রমণ আসলে অমানবিকতাই তুলে ধরে। যা করার করে নিন। তৃণমূল এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়বে না।
অভিষেকের ত্রিপুরার সফরের পর এই কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরায় গিয়ে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পরে কলকাতায় ফিরে ছিলেন কুনাল ঘোষ। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের উপরে এই আক্রমণের পরে দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে আগামীকাল সকালে ফের ত্রিপুরা যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। এই খবর জানিয়ে কুনাল বলেন, আমাদের যারা তরুণ তুর্কি এবং ওখানকার স্থানীয় নেতা জয়া, দেবাংশু এবং ওখানকার স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নির্মমভাবে মেরেছে। রাজনৈতিক কর্মী ওরা, কীসের জন্য মারবে? এইভাবে তৃণমূলকে থামিয়ে রাখতে পারবে না। পরাজিত হতে চলেছে বিজেপি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছেন। কাল সকালে আমি ও ব্রাত্য বসু ত্রিপুরা যাব। দেখব এই লাঠি, গুলি, সন্ত্রাস দিয়ে তৃণমূলকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে। ভয়ের চোটে এই আক্রমণটা করল।