Last Updated on August 10, 2021 11:27 PM by Khabar365Din
আগরতলা থেকে রিপোর্ট ও ছবি । তমাল রায়
৩৬৫ দিন । স্পষ্টতই ভয় পেয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ভাজপা আশ্রিত গুন্ডারা তৃণমূলের যুব নেতৃত্বের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পরও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ত্রিপুরার ভাজপা সরকার মঙ্গলবার ৫ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। বিজেপি সরকারের ত্রিপুরা পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। আজ ত্রিপুরায় এসে এই অভিযোগ করেন বাংলার আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি বলেন, এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবেনা। ভাজপা সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর অঙ্গীকার নিয়ে অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, রাজ্যে প্রতিদিন দলের কেউ না কেউ কলকাতা থেকে আগত কর্মী-সমর্থকদের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। সেই মত গতকাল কুণাল ঘোষদের ত্রিপুরা ছাড়ার পর আজ রাজ্যে এলেন আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। আগরতলা এসেই তিনি সরাসরি চলে যান আমবাসায়, যেখানে গতকাল রাত থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। মধ্যরাতে পাঁচজন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন মিঠুন বিশ্বাস উত্তম কলই, নিতু মালাকার, তমাল বসু এবং পংকজ দেবনাথ। তাদের বিরুদ্ধে বেশকিছু জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত করে মঙ্গলবার আদালতে উত্থাপন করা হয়। আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য সময় চাইলে অভিযুক্তদের পুলিশ রিমান্ডে না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আগামী ১৬ আগস্ট তাদের পুনরায় আদালতে তোলা হবে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭,৩২৬,১২০বি,৩৯২ এবং ৪২৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মলয় ঘটক বলেন ‘এখানকার সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গেছেন যে ২০২৩ এর পরে তারা আর থাকবেন না। তাই ধমকে চমকে আন্দোলনকে রুখে দেবার চেষ্টা করছেন। এভাবে তৃণমূলকে কংগ্রেসকে রোখা যায় না। ত্রিপুরার মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূল সর্বশক্তি দিয়ে দাড়াই করবে।’ মলয় ঘটক অভিযোগ করেন মিথ্যা মামলা দিয়ে উচ্চ আদালত থেকে আইনজীবী নিয়ে আসা হয়েছে। কিছুতেই লাভ হবে না বলে মলয় ঘটক জানান। তিনি বলেন ‘ত্রিপুরায় গনতন্ত্র উদ্ধার হবেই’। এদিন গ্রেপ্তার হওয়া কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেন, দল তাদের সঙ্গে আছে।