৩৬৫ দিন | এবার কি আসরে নামছেন বিপ্লব জায়া নীতি দেব | সম্প্রতি টিপরা মথার প্রধান প্রদ্যুৎ কিশোরের সঙ্গে পুরনো একটি ছবি দিয়ে তাকে জন্মদিনে তার সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানালেন নীতি | আর তাতে প্রদ্যুতের ভাবিজী বলে সম্বোধনে বেশ রাজনীতি দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।আর এতে তিপ্রার সঙ্গে ভাজপার বরফ গলানোর কৌশল নেওয়া হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল |
২০২৩ এর নির্বাচনে ভাজপা মুখে কিছু না বললেও বেশ ভয় পাচ্ছে তিপ্রাকে | দল রেবতী ত্রিপুরা, পাতালকন্যাকে এই দিকে কাজে লাগানো হয়েছে | তাদের ওপারেই পাহাড়ে ভাজপার ভবিষ্যৎ টিনির্ভর করছে | তাই তিপ্রাকে সামলাতে নতুন কোন মুখ চাইছে ভাজপা | তাই নীতির এই পদক্ষেপ কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে | কিন্তু কে এই দৌত্যর কাজটি করবে তা নিয়ে বেশ সংশয় ছিল | ভাজপার কোন নেতার পক্ষে এই কাজ করা বেশ কঠিন। তাই নীতির আসরে নামা। যদিও ২ জনেই এটাকে নেহাতই সৌজন্য বলে এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন।
গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের বক্তব্য অনুযায়ী, চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নিজেদের শক্তি ফের ঝালিয়ে নেয় তারা উপভোটে একটি আসন হাতছাড়া হলেও ভোটের শতাংশ হিসেবে প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম ও কংগ্রেসকে বহুদূর ঠেলে দিয়েছে এবং উপভোটে আক্ষরিক অর্থে শক্তি বেড়েছে শাসক দল বিজেপির ভোটের পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে গেরুয়া শিবিরের থিম ট্যাঙ্ক তারা নিশ্চিত এগিয়ে আনলেও তাদের কোন সমস্যা হবে না বরং লাভবানই হবে।
এখন পর্যন্ত বিজেপির শক্তির ধারে কাছে নেই সিপিএম ও কংগ্রেস। তবে পাহাড়ে তিপ্রামাথা একটা ফ্যাক্টর। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের সিংহভাগ নেতৃত্ব মনে করছেন, ভোটের চূড়ান্ত মুহূর্তে প্রদ্যুতের মথা যোগ দেবে বিজেপির সঙ্গেই। কারণ, বিজেপি ব্যতীত তাদের কাছে বিকল্প কোন রাস্তা খোলা নেই। কেননা, দাবি আদায় করতে হলে তিপ্রামথাকে আলোচনায় বসতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেই।
২০২৪ সালে সাধারণ নির্বাচনেও যদি দেশের ক্ষমতায় আসে ভাজপা ।তাই প্রদ্যুৎ কিশোরকে রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকতে হলে বিজেপি ব্যতীত কোন বিকল্প নেই। রাজ্ প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, চলতি বছরের প্রথমেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন চূড়ান্ত দামামা বেজে উঠতে পারে। ইতিমধ্যে আরক্ষা প্রশাসনের কাছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে এই সংক্রান্ত প্রাথমিক বার্তা এসে পৌঁছেছে বলেও জানা গিয়েছে।