Last Updated on September 13, 2021 11:47 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। আগরতলা। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদযাত্রা করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন তাঁর অনুমতি বাতিল করে দিল ভাজপা শাসিত ত্রিপুরার পুলিশ। এরপরে তৃণমূলের পক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে এর পরের দিন অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্বনির্ধারিত রুটেই পদযাত্রা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূল চিঠি দিয়ে পরের দিন পদযাত্রা করার অনুমতি চাইলেও ত্রিপুরা পুলিশ তা খারিজ করে দিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশের আপত্তি সত্ত্বেও তারা পদযাত্রা কর্মসূচি বহাল রাখছেন।
আজ আগরতলায় সুস্মিতা দেব এবং সুবল ভৌমিক কে পাশে নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পেয়েছে বিজেপি। অনেকদিন আগে থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা নিয়ে ত্রিপুরা আগরতলা পুলিশের কাছে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও হঠাৎ করে পুলিশের একটি চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে ঐদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা যে রুটে এবং যে সময় হওয়ার কথা ছিল সেই সময় নাকি অন্য একটি রাজনৈতিক দলকে পদযাত্রার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও যখন আবেদন করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল তখন পুলিশ জানিয়েছিল ঐদিন অন্য কোন দলের কোনো কর্মসূচি নেই। কুনালের অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে যে চক্রান্ত রয়েছে তা বুঝতে কোন সমস্যা হয় না। বিজেপি বুঝতে পেরেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হতে চলেছে এবং ত্রিপুরার মানুষ বিজেপি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। সেইজন্য ত্রিপুরার বিজেপি সরকার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চাই।
সংঘাতের রাস্তা আমাদের পছন্দ নয়। তার পরেও এখানকার বিজেপি সরকার এবং পুলিশ নাটক করছে বুঝতে পেরেও আমরা শান্তির রাস্তায় 15 তারিখের কর্মসূচি বদল করে 16 তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করব। ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে। কুনাল ঘোষ বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে সেই চিঠিটা রীতিমতো হাস্যকর। চিঠির এক জায়গায় বলা হচ্ছে আপনারা যে রুটে যাবেন সেইরূপ অন্য দলকে দেওয়া হয়েছে। আবার একই চিঠির অন্য একটি জায়গায় পুলিশ বলছে ঐদিন গোটা আগরতলা শহরটাই অন্য একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির জন্য দেওয়া হয়েছে। এটা কি সম্ভব কখনো? পৃথিবীতে এমন টা তো কখনো সম্ভব নয়। তার থেকে পুলিশ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে পারে গোটা আগরতলা শহরটাই আমরা বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছি। তাহলে ঝামেলা চুকে যায়। এখানেই শেষ নয় এরপরে আমরা দেখছি বিজেপির শ্রমিক সংগঠন বি এম এস ধর্মনগরে 14 এবং 15 সেপ্টেম্বর 24 ঘন্টা ধরে রেল অবরোধ ডেকেছে। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা রেল দফতরের বিরুদ্ধে নাকি ধর্মঘট ডাকছে বিজেপির শাখা সংগঠন। এটা কিভাবে সম্ভব বুঝতে পারছিনা। এখন আবার শোনা যাচ্ছে ১৫ তারিখ যে রাজনৈতিক দলটি কর্মসূচি করবে বলে জানিয়েছিল তারা বাতিল করেছে তারপরে রাতারাতি বিজেপি তাদের মহিলা মোর্চা কে দিয়ে আগরতলার রাস্তা দখল করার পরিকল্পনা নিয়েছে।