৩৬৫দিন। জাতীয় সড়কসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমায় সড়ক ব্যবস্থায় চরম ভোগান্তি শুরু হয়েছে। মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে জাতীয় সড়কসহ বিভিন্ন মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কগুলি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে সিপাহীজলা জেলার একটি অংশের মানুষরা বেহাল সড়ক ঠিকঠাক না হলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এলাকার মানুষ ভোট বয়কট করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।
অপরদিকে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। শুধু রাজ্যেই নয়, গোহাটি থেকে একেবারে আগরতলা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে জাতীয় সড়কের অবস্থা বেহাল পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে সড়ক পথে রাজ্যের সাথে যোগাযোগ প্রায়সই ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দূরপাল্লার যানবাহন চালকরাও সড়কের এই বেহাল রাস্তায় মারাত্মক সমস্যা রয়েছে। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন নিয়ে আসতে হচ্ছে এই সড়ক দিয়ে।
রাজ্যের লংতরাই, আঠারোমোরায় জাতীয় সড়কের অবস্থা মারাত্মক খারাপ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই আঠারোমোরায় জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার আঠারোমোরা পাহাড়ের জাতীয় সড়কে দুটি লরির দুর্ঘটনায় দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল যানবাহন চলাচল। তাছাড়াও একেবারে ধীর গতিতে আঠারোমোরা পাহাড়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। একটু এদিক ওদিক হলেই গাড়ি পাহাড়ের খাদে চলে যাবে।
এইরকম বিপদের ঝুঁকি নিয়ে রাজ্যের বাইরে থেকে অসংখ্য মালবাহী লরিগুলি আগরতলায় আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলার বা মহকুমার সড়কগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে মেরামতি না থাকার ফলে সড়ক ভেঙ্গে খন্দনালায় পরিণত হয়েছে। কোন কোন এলাকায় মানুষেরা সড়কের উপর ধান গাছ রোপন করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আবার কোথাও সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
সদ্য সিপাহী জেলা জেলার কয়েকটি এলাকার মানুষ সড়ক মেরামতির দাবিতে হুলিয়া জারি করেছে সরকারের প্রতি। এলাকার মানুষের অভিযোগ সড়ক মেরামতি না হলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকার মানুষ ভোট বয়কট করবে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা মাঠঘাট গরম করে প্রচার করছে রাজ্যের ঢালাও উন্নয়নের।
আশ্চর্যকর বিষয় হচ্ছে রাজ্যের উন্নয়নের ঢোল পিটার সাথে বাস্তব চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। রাজ্যের মানুষ ক্রমে ক্রমেই শাসক বিজেপি দলের প্রতি ক্ষোব্ধ হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে পর্যন্ত এলাকায় সভা করতে দিচ্ছে না।
অভিযোগ গত বিধানসভা নির্বাচনের পরথেকে এখন পর্যন্ত সারে চার বছরে সেই এলাকায় কোন উন্নয়ন করেনি জোট সরকার। তাই এই সরকারের কোন বিধায়ক মন্ত্রী এলাকায় এসে পুনরায় মানুষের সাথে যেন প্রতারণা করতে না পারে তার জন্যই এই বিক্ষোভ।