Last Updated on July 15, 2022 5:56 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। হুড়মুড়িয়ে কমছে সেল্ফ টেস্ট কিটের চাহিদা। করোনা গ্রাফ, যেখানে ঊর্ধ্বমুখী সেখানে কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে চাহিদা থাকলেও সামগ্রিকভাবে তলানিতে অ্যান্টিজেন কিটের চাহিদা। এই প্রসঙ্গে উৎপাদক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাসমুখ রাওয়াল জানান, ভারতে এখন এই কিটের চাহিদা যথেষ্ট কম। কারণ, নমুনা পরীক্ষা থেকে ভ্যাকসিন, সবটাই বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার। ফলে, মানুষের মধ্যে এই কিটের প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কমছে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই কিটের চাহিদা যথেষ্ট।চলতি বছরের জুন থেকে ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে মধ্য প্রাচ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মালয়শিয়া কিছু অংশ, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ার আরটিপিসিআর, হোম টেস্টিং কিটের চাহিদা দিনের পর দিন কমছিল ভারতে। এখন বিদেশের যাত্রায় আরটিপিসিআর এবং ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট দেখার বিধিও শিথিল করা হয়েছে।
২০২১ সালের মে মাসে পুনের মাইল্যাব ডিসকভারি সলিউশনস এর তৈরি এই অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটকে অনুমোদন দেয় আইসিএমআর। প্রসঙ্গত, করোনা গ্রাফ থিতু হওয়ায় দোকানে জমছিল করোনা সামগ্রীর পাহাড়। মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই কিট থেকে শুরু করে করোনা টেস্টিং কিট সহ বিভিন্ন ওষুধ, থরে থরে জমা হচ্ছে ওষুধের দোকানগুলিতে।
তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ও চাহিদা ছিল যথেষ্ট। তবে, নিম্নমুখী গ্রাফ অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে চাহিদায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। যদিও, তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতে অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট মজুতের হিড়িক পড়ে যায়। চাহিদা বাড়ায় দোকানগুলিতে আনা হয় গাদা গাদা অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট। যার মাধ্যমে বাড়ি বসেই সহজে করা যাবে করোনা পরীক্ষা।এই নিয়ে এক দোকানি জানান, এখন নমুনা পরীক্ষায় অনেক নিয়ম কানুন করা হয়েছে। সকলে চাইলেই করতে পারছেন না। কিন্তু, এই কিটে খুব সহজেই বাড়িতে যে কেউ পরীক্ষা করে জেনে নিতে পারবেন। রেজাল্টও জানা যায় মাত্র কয়েক মিনিটে। স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা বেড়েছে।