বাংলাদেশ থেকে হাঁসের পালক আশা আপাতত বন্ধ সংকটে শাটল কক ব্যবসায়ীরা, শিল্প বাঁচানোর আহ্বান

0

Last Updated on July 27, 2023 7:01 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। বাংলাদেশ থেকে হাঁসের পালক আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সংকটে উলুবেড়িয়ার শাটল কক শিল্প। সমস্যায় পড়েছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে এই সমস্যার সমাধানে এক ব্যবসায়ী উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদের কাছে আবেদন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সাংসদ সোচ্চার হয়েছেন। সূত্রের খবর বাংলাদেশ থেকে হাঁসের পালক আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংসদ সাজদা আহমেদ। সমস্যা সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সংসদ। শাটল কাপ শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল হল হাঁসের পালক। শাটল কক ব্যবসায়ীদের মতে আগে বাংলাদেশ থেকে এই হাঁসের পালক আসলেও লকডাউনের পর থেকে পালক আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর এই সমস্যা সমাধানে উলুবেড়িয়ার ব্যবসায়ী সুশীল মণ্ডল উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

তিনি জানান বাংলাদেশের হাঁসের পালক অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক উন্নতমানের এবং দাম ও কম। আগে বাংলাদেশ থেকে এই পালক আনতে পারা গেলেও লকডাউনের পর থেকে পালক আনতে সমস্যা হচ্ছে। আগে বাংলাদেশ থেকে এই পালক আনতে পারা গেলেও এখন হাঁসের পালক পাখির পন্য জাতীয় সামগ্রী এই অজুহাত দেখিয়ে কাস্টমস এবং বিএসএফ বাংলাদেশ থেকে পালক আনতে বাধা দিচ্ছে। সুশীল মন্ডল জানান বাংলাদেশ থেকে পালক আনতে না পারায় ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। তিনি জানান বাংলাদেশ থেকে পালক না আসায় এখানকার ভালো ব্যবসায়ীরা একলাফে পালকের দাম অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

আগে যেখানে ১০০০ পালকের দাম ছিল ৭০০ টাকা এখন সেই পালকের দাম বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজার টাকা। সুশীল মন্ডল জানান পালকের এই দাম বৃদ্ধির কারণে বাজারে চীনা শাটল কক বাজার দখল করছে। অবিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে ভবিষ্যতে এই ব্যবসা চালানো সমস্যা হবে বলে জানান সুশীল মন্ডল। অন্যদিকে এই ব্যাপারে উলুবেড়িয়া চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি তমাল ঘোষাল জানান পালকের এই সমস্যা মেটানোর জন্য ভিয়েতনাম থেকে বিশেষ প্রজাতির হাঁসের বাচ্চা আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের কারনে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় বর্তমানে ইউকে থেকে হাঁসের বাচ্চা নিয়ে আসা হচ্ছে। এইসব হাঁসের বাচ্চা এসে গেলে পালকের এই সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তমাল ঘোষাল।