Last Updated on October 26, 2021 10:18 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। মুম্বই। তোলাবাজির অভিযোগ যে কোন মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন মুম্বইয়ে এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। মুম্বাই পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মারাত্মক বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮৪ ধারায় তোলাবাজি, ৩৮৮ ধারায় ভয় দেখিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ, ৩৮৯ ধরায় নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন ব্যক্তিকে আতঙ্কগ্রস্থ করে তোলা, ১২০ বি ধারায় ষড়যন্ত্র এবং দুর্নীতিবিরোধী আইনের ১৩ ধারায় সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করলো মুম্বই পুলিশ। গ্রেফতারের আশংকায় গতকাল মুম্বাইয়ের বিশেষ এমবিপিএস আদালতের দ্বারস্থ হয় আদালতের রক্ষাকবচ চেয়ে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। কিন্তু আদালতের কাছে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে যাবতীয় নথিপত্র জমা দিয়ে যে সমস্ত হলফনামা জমা পড়েছে তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন এই ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত করলে অথবা গ্রেফতার করলে আদালত কোনো আগাম নির্দেশ দেবে না।
বলিউড তারকাদের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ
এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এ বার ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ আনলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক৷ তাঁর অভিযোগ, এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর বলিউডের সেলিব্রিটিদের ফোনে আড়ি পাততেন৷ তাঁর মেয়ের ফোনের কল ডিটেইলসও ওয়াংখেড়ে চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ মালিকের৷ আজ নবাব মালিক বলেন, সমীর ওয়াংখেড়ে আমার মেয়ের কল ডিটেইলস রেকর্ড চেয়ে পাঠিয়েছিলেন৷ তবে মুম্বই পুলিশ তা দিতে রাজি হয়নি৷ আমার কাছে তথ্য রয়েছে যে, ব্যক্তিগত দু’জনকে দিয়ে ফোন কল ট্যাপ করতেন ওয়াংখেড়ে৷ আমার ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছে৷ বলিউডের তারকা-সহ শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের ফোনে আড়ি পাততেন ওয়াংখেড়ে।
ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এনসিবি
এনসিবির জোনাল ডিরেক্টরের সমিরনের এর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠার পর এই ভিজিলান্স কমিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল এমসিবি। আজ সকাল থেকেই দিল্লিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি মুম্বই এনসিবি অফিসের একাধিক আরেক নিজের নাম প্রকাশ না করে সমিরনের একের পর এক প্রতারণামূলক ঘটনার তথ্য প্রমাণ পাঠিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের কাছে। সেই চিঠির প্রসঙ্গ তুলে নবাব মালিক বলেন, আমি চিঠিটি মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি ও অন্যদের পাঠিয়ে দিয়েছি৷ চিঠিতে উল্লেখিত ৩৬ প্রতারণামূলক মামলা রয়েছে এবং সেগুলির তদন্ত করা উচিত। মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সেগুলির তদন্ত করা উচিত। কোটি কোটি টাকার জন্য ব্যুরোকে ব্যবহার করছেন সমীর ওয়াংখেড়ে৷ এনসিবি দফতরের ভিতরের বিষয় নিয়ে এই চিঠিতে যে ভাবে ঘটনাগুলির উল্লেখ করা আছে, তাতে সেগুলি যে সত্যি তা বিশ্বাস করা যায়৷ আমি বলছি না যে, তাঁদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক৷ তবে এটা অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে মুম্বইয়ের নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর ডিরেক্টর জেনারেল মুথা অশোক জৈন বলেছেন, আমি চিঠিটি দেখেছি৷ আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।