মমতার উদ্যোগে, অভিষেকের হাতে, সন্তোষকন্যা সুস্মিতার খেলা শুরু

0

Last Updated on August 17, 2021 12:29 AM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মহিলা সভানেত্রী তথা অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব যোগ দিলেন তৃণমূল। উত্তর-পূর্ব ভারতে কংগ্রেসের দাপুটে প্রাক্তন সাংসদ সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতা দেব ২০১৪-য় শিলচরের সাংসদ হন। ত্রিপুরার পর অসমেও দলীয় সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। আজ সকালে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠানোর পরেই সুস্মিতা চলে আসেন ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। সেখানে অভিষেক-সুস্মিতার দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক হয়। সেখান থেকে দুজনেই যান নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তৃণমূলের ট্যুইটারে হ্যান্ডেল থেকে সুস্মিতাকে স্বাগত জানানো হলে তিনি সেটি রিট্যুইট করে লেখেন, আমি যা পেয়েছি, তার সবটুকু দিয়ে দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। খেলা হবে।
এর পরেই সুস্মিতা বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। ওঁর দল সম্পর্কে খুব ভালো এবং স্পষ্ট মত রয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেছি। আমি আগামীকাল দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করব, সেখানে সবরকম প্রশ্নের উত্তর দেব।

টার্গেট অসম ত্রিপুরা

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছিলেন ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির দিকে।‌ তাই আজ প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তর-পূর্ব ভারতের এই দুই ভাজপা শাসিত রাজ্যে বড় ব্রেকথ্রু পেল তৃণমূল।‌ অসম এবং ত্রিপুরায় সন্তোষ মোহন দেবের সংগঠন এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী। এই দুই রাজ্যে সুস্মিতা দেব এর নেতৃত্বে সংগঠন বিস্তারের কাজে বড় সুবিধে হবে তৃণমূলের।

অসম ত্রিপুরায় সুস্মিতা ফ্যাক্টর

বাংলায় বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পাশাপাশি ত্রিপুরাতেও প্রবল পরাক্রমে ক্ষমতা দখল করে সিপিএম নেতৃত্বের বামফ্রন্ট। সিপিএমের প্রবল পরাক্রমে যখন ত্রিপুরায় কংগ্রেস এবং যাবতীয় বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছিল সেই সময় প্রতিবেশী রাজ্য অসমের শিলচর থেকে নিজের অনুগামীদের এ নিয়ে কার্যত একার কৃতিত্বে ত্রিপুরা পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর দুবার সাংসদ নির্বাচিত হন সন্তোষ মোহন দেব। ১৯৮৯ ও ১৯৯১ লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে বিপুল ভোটে হারিয়ে দেন তিনি। ১৯৮৯ সালে কার্যত সন্তোষ মোহন দেবের একার ক্যারিশমায় তৎকালীন সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীর সরকারকে হটিয়ে পুনরায় কংগ্রেসকে ত্রিপুরার ক্ষমতায় নিয়ে আসেন তিনি। এরপর থেকে অবশ্য ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত সিপিএমকে সরাতে পারেনি কোন দল। কাকতালীয়ভাবে তিনি যে মানিক সরকারকে পর পর ২ লোকসভা নির্বাচনে হারিয়েছিলেন তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দীর্ঘ ২০ বছর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here