Last Updated on October 9, 2020 4:11 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: বাংলার বিধানসভা ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই কলকাতা রাজভবনে বাড়ছে রাজনৈতিক কর্মসূচি আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে চড়ে পদ্মপালের নির্বাচনী প্রচার। আগে রাজ্যের কোন জেলায় যাওয়ার জন্য তিনি রাজ্য সরকারের কাছে হেলিকপ্টারের জন্য অনুরোধ করতেন। তবে এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে তাঁর যখনই প্রয়োজন হেলিকপ্টার পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী। যতই হোক রাজ্যে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রচারকের মহান দায়িত্ব তাঁর কাঁধে রয়েছে বলে কথা।
এতকাল ধরে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে দেশের যে কোন রাজ্যে সেনাবাহিনীর শহীদ জওয়ানের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার অথবা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সরকারি সাহায্য বা অনুদান পৌঁছে দেওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। কিন্তু বাংলার নতুন পদ্মপাল যেহেতু নিজেকে রাজ্যের হর্তাকর্তা বিধাতা বলে মনে করেন, তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নেতাদের কায়দায় ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি কলকাতা থেকে ফটোগ্রাফার নিয়ে গিয়ে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের ঢাক নিজে পেটাতে বড্ড ভালোবাসেন। যদিও নিজের ঢাক পেটালেই যে রাজভবনে বসে থাকার চাকরিটা থাকবে না, সেটাও বিলক্ষণ জানেন বাংলার পদ্মপাল। তাই তার নিয়োগকর্তা নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের গুনগান করতে ভোলেন না তিনি। আজকেও সকাল বেলা সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে চড়ে আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়ায় শহীদ বিপুল রায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান৷ শহীদের স্ত্রী ও শহীদের মায়ের হাতে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দেন৷ এরপরে নিয়োগকর্তাকে খুশি করার জন্য বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে একজন।