তান্ত্রিক হবার ইচ্ছে-পূরণ করতে কালীপুজোর রাতে সাত বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ এবং খুন

0

Last Updated on October 30, 2022 10:52 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। কালীপুজোর রাতে তান্ত্রিক হবার ইচ্ছে-পূরণ করতে সাত বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ এবং খুনের পর হরিয়ানা থেকে গা ঢাকা দিয়ে হাওড়ায় পালিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তের। সেইমতন হাওড়ায় আসার পথে জিআরপির তৎপরতায় ধরা পড়লেন ওই যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিয়ানা পুলিশ। সিদ্ধ তান্ত্রিক হতে গেলে কোনও নাবালিকাকে বলি দিতে হবে দীপাবলির রাতে। আর সেইমতো কালীপুজোর রাতে সাত বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের পর খুন করে শিবকুমার নামের ওই যুবক।

ঘটনাটি ঘটে হরিয়ানার পানিপথে। খুন করার পর হরিয়ানার পানিপথ থেকে কলকাতায় পালিয়ে আসার পথে পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় শিবকুমার। হরিয়ানা পুলিশ ও হাওড়া জিআরপি’র তৎপরতায় গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। হাওড়া জিআরপি থানার ওসি সিদ্ধার্থ রায় জানান, বৃহস্পতিবার হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার পঙ্কজ দ্বিবেদী সকাল ৯টা নাগাদ জানতে পারেন এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুন করে শিবকুমার নামে মূল অভিযুক্ত ডাউন কালকা মেলে কলকাতায় পালিয়ে আসছে।

ওই ট্রেনটি প্রায় দু ঘন্টা দেরিতে আসছিল। সঙ্গে সঙ্গে  জিআরপি আধিকারিকরা বর্ধমান স্টেশনে সাদা পোশাকে টিম পাঠিয়ে দেয়। কালকা মেলে এর মধ্যে তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকে শিবকুমারকে। এস ৬ কামরায় সন্ধান পাওয়া যায় অভিযুক্তের। বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠে জরিমানা দিয়ে ট্রেনে টিকিট কনফার্ম করেছিল অভিযুক্ত। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। হরিয়ানা পুলিশের একটি টিম হাওড়ায় আসছিলো এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তের সন্ধানে। তাদের হাতে শিবকুমারকে তুলে দেয় হাওড়া জিআরপি।

পুলিশ জানিয়েছে, এর আগেও সে একটি বাচ্চা ছেলেকে যৌন অত্যাচারের কারণে হাজতবাস করেছিল।হাওড়া জিআরপি থানার ওসি সিদ্ধার্থ রায় জানান, বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার এসআরপি জানান পানিপথ থেকে শিবকুমার নামের এক আসামী পালিয়ে ট্রেনে হাওড়া আসছে। সে ৭ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুন করেছে। এরপর সে কালকা মেলে করে হাওড়ার দিকে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে রেল পুলিশের এক আধিকারিককে পাঠানো হয়। ট্রেন লেট ছিল প্রায়  ২ ঘন্টার মতো।

অভিযুক্তকে বর্ধমান থেকে অনুসরণ করা হতে থাকে। হাওড়া থেকে গ্যালপিং ট্রেনে করে বর্ধমানে পৌঁছানোর পর ট্রেনে খুঁজতে খুঁজতে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়। প্রায় ১০ থেকে ১২টা কামরা খোঁজার পর তাকে এস ৬ নং কামরায় পাওয়া যায়। শিবকুমার বিনা টিকিটে উঠেছিল। টিটিকে ফাইন দিয়ে রসিদ করে নেয় এবং একটা সিট পেয়ে যায়। সেখানেই ছিল। ওকে ধরে সঙ্গে সঙ্গে অফিসাররা আমাদের জানায়। ইতিমধ্যেই হরিয়ানার অ্যান্টি ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা হাওড়ায় এসে যান। জিআরপির অধিকারিকরা অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে আসে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে সে কোনওভাবে জানতে পারে দীপাবলির দিন কালীমাতার নামে কাউকে যদি বলি চড়ানো যায় তাহলে সে সিদ্ধ তান্ত্রিক হতে পারবে। সেই কারণে ওই শিশুটিকে বেছে নেয় বলি দেওয়ার জন্য। এর আগে ২০১৫ সাল নাগাদ এক শিশুপুত্রর সঙ্গে এমন আচরণ করেছিল। তবে তাকে খুন করেনি। এই ঘটনার ঘটানোর পর তার সাজাও হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here