আদানির হাতে তুলে দেওয়া মুদ্রা বন্দরে আটক ২১০০০ কোটি টাকার হেরোইন, বিরোধীদের প্রশ্ন বিপুল মাদকের বরাত দিল কে?

0

Last Updated on September 22, 2021 12:59 AM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক বিমানবন্দর এবং সমুদ্র বন্দর আদানির হাতে তুলে দিয়েছে মোদি সরকার। এমনই একটি সমুদ্র বন্দর হল গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর। এবার এই বন্দর থেকেই উদ্ধার হলো প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার হেরোইন যা আফগানিস্তান থেকে ভারতে ঢুকছিল গুজরাট হয়ে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, প্রায় ৩ টন মাদকের বরাত কে দিয়েছিল? কোথায় যাচ্ছিল এই বিশাল পরিমাণ মাদক? বন্দর কর্তৃপক্ষের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া কি এত বিপুল পরিমাণ মাদক বরাত দেওয়া সম্ভব ছিল? একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দর বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের পথে হেঁটে আদানিদের হাতে তুলে দিয়ে কি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করছে না মোদি সরকার। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোদি সরকারের তীব্র আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রশ্ন এই ড্রাগ আসলে কার? টুইটে কংগ্রেসের অভিযোগ, নারকোটিকস কন্ট্রোল ব‍্যুরোকে মোদি সরকার প্রতিপক্ষদের শায়েস্তা করতে কাজে লাগাচ্ছে। তাদের নিজের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নারকটিকস কন্ট্রোল ব‍্যুরো এখন ‘হেডলেস’! কোনও ফুলটাইম ডিজি নেই। এটাই মোদির গুজরাট মডেল। আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন কায়েম হওয়াতে ভারতে মাদক কারবারের রমরমা পারবে এমন আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন আন্তর্জাতিক মহল। এবার সেই আশঙ্কা সত্যি হলো। গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে ধরা পরল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার হেরোইন।

সূত্রের খবর নথি পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন এই কন্সাইনমেন্ট এসেছিল আফগানিস্তান থেকে। ডিআরআই সূত্রে খবর,ইরানের বন্দর আব্বাস পোর্ট থেকে সন্দেহজনক দ্রব্য নিয়ে একটি জাহাজ গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে আসছে বলে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় সেই মোতাবেক অভিযানের প্রস্তুতি নেন তারা মালবাহী জাহাজ বন্দরে আসামাত্র সেটিকে আটকানো হয় এবং তল্লাশি অভিযান শুরু হয় সেখানেই উদ্ধার হয় এই বিপুল পরিমাণ মাদক। প্রায় ৩ টন হেরোইন আটক করা হয়। গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। সূত্রের খবর মাদক গুলি ফরেনসিক এজন্য পাঠানো হয়েছে তারপরই এই বিপুল মাদকের ভারতীয় মুদ্রায় সঠিক কত দাম হতে পারে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলা যাবে বলে জানানো হয়েছে তবে প্রাথমিক অনুমান প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার মাদক ছিল এবং মাদক আসে আফগানিস্তান থেকে। বিজয়ওয়াড়ার একটি সংস্থার নামে কন্সাইনমেন্ট ছিল বলে জানা গিয়েছে সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে প্রয়োজনে শেখানো তল্লাশি অভিযান চালান হবে। গোয়েন্দারা মনে করছেন এই বিপুল পরিমাণ মাদক শুধু দক্ষিণ ভারত নয় দিল্লী মুম্বাই সহ উত্তর মধ্য এবং পূর্ব ভারতের একাধিক শহরে ছড়িয়ে দেবার পরিকল্পনা ছিল গোটা চক্রে একাধিক আন্তর্জাতিক মাদক কারবারি চক্র জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে তাদের আশঙ্কা এমনিতেই গোটা বিশ্বের প্রায় 80% মাদক আফগানিস্তান থেকে আসে। এবার তালিবান শাসনে এই মাদক কারবারি বা মাদক পাচার আরো বাড়বে। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর সমুদ্রবন্দর বেসরকারিকরণ করার আগে মোদি সরকারের উচিত ছিল জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তাভাবনা করা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here