Last Updated on October 12, 2021 5:07 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। নিরক্ষরতা দেশের অগ্রগতির পক্ষে প্রতিবন্ধক। কে বলছেন ? বলছেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনিতে এই বিষয়টি উপলব্ধির জন্য রকেট সায়েনটিস্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই কিন্ত এই বক্তব্য মাননীয় অমিত শাহের মুখে শোনা যাচ্ছে বলেই অনেকের মনে ব্যঙ্গের উদ্রেক হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, অমিত শাহ যদি দেশের সাক্ষরতা নিয়ে গুরুগম্ভীর মত প্রকাশ করেন তাহলে তো ভারি মুশকিল। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো তিনি কাদের উদ্দেশ্য করে কথা বলছেন ? কারণ, মোদি সরকারের নেতা মন্ত্রীদের দিকে তাকালে আর যাই হোক তাদের ওপর মা সরস্বতী যে এক চুলও কৃপা করেছেন তা বলবেন না অতি বড় ভাজপা সমর্থক। মোদি সরকারের প্রধান মাননীয় নরেন্দ্র মোদি, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিশেষ কোনো তথ্য নেই। বিরোধীরা বলেন, উনি স্কুলের গন্ডি পেরিয়েছেন কিনা সে বিষয়ে তেমন কোনো প্রমাণ নেই ।
মোদি সরকারের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড এবং দেশের সাক্ষরতা নিয়ে যিনি বেশ অনেকক্ষণ ধরে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও বেশি কথা না বলাই ভালো। বাকি যারা মন্ত্রী রয়েছেন তারাও জনসমক্ষে যে সমস্ত কথাবার্তা বলেন, বিজ্ঞান, ভারতীয় সংস্কৃতি, শিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে সেই সব দেখেশুনে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মান যে বড় একটা মধুর নয় তা বোঝা যায়। মাননীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির আবার শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, তিনি নাকি জাল শংসাপত্র দাখিল করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই এক মহাপুরুষের উক্তি অন্য মহাপুরুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। রবীন্দ্রনাথকে বিকৃত করা রীতিমতো অভ্যেসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল তাঁর বাংলা বিধানসভা ভোটের সময়। বাদ যান না অমিত শাহ, তিনি বাঁকুড়া গিয়ে মূর্তি বিভ্রাট করেছিলেন। সবমিলিয়ে মোদি সরকারের মন্ত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মার্কশিট বড়ই দুর্বল। তাই মজা করে অনেকে বলছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষরতা নিয়ে একদম ঠিক বলেছেন কিন্তু এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলে তো মোদির মন্ত্রিসভাটাই থাকবে না। অতএব ওনার দেশের শিক্ষা সাক্ষরতা নিয়ে চুপ থাকাই ভালো।