৩৬৫ দিন। মোদি সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল বিদেশ থেকে ‘কালো টাকা’ ফিরিয়ে আনার। ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ৯ বছর কাটতে চললেও সে সব আর বাস্তবায়িত হয় নি। এর মধ্যে সুইস ব্যাঙ্ক বৃহস্পতিবার জানাল ২০২১ অর্থবর্ষে তাদের ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। ভারতীয় দের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৩০,৫০০ কোটি টাকা, যা গত ১৪ বছরে সর্বোচ্চ। ২০২০ অর্থবর্ষে এই সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০,৭০০ কোটি টাকা।
সুইস ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সব চেয়ে বেশী ভারতীয় ( সংস্থা এবং ব্যক্তি বিশেষ) সুইস ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকার বন্ড, সিকিওরিটি কিনে রেখেছে। শুধু এই খাতে ভারতীয়দের বিনিয়োগ সিএইচএফ ২০০২ মিলিয়ন। এছাড়া সেভিংস ব্যাঙ্কে জমা অর্থের পরিমাণ গত কয়েক বছর কিছুটা কম থাকলেও ২০২১ অর্থবর্ষে তা অনেকটাই বেড়েছে। এই খাতে ভারতীয়দের জমা রয়েছে ৪৮০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সম্পদ বৃদ্ধির হার প্রায় ৫০ শতাংশ।
সুইস ব্যাংকের তরফে পরিষ্কার জানানো হয়েছে এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র যে সমস্ত ভারতীয় নিজেদের নামে কিংবা অন্য কোন ব্যাংকের মাধ্যমে বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সুইস ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছে তাদের, থার্ড পার্টি ইনভেসমেন্ট সংক্রান্ত তথ্যাদি এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি ওয়াকিবহাল মহলের মতে যদি থার্ড পার্টি ইনভেসমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য যোগ করা যায় তাহলে সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ আর 50 শতাংশ নয় প্রায় 70 কিংবা 75 শতাংশের বেশি হতে পারে।
যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি এই পরিসংখ্যান এর সঙ্গে কালো টাকা পাচারের কোন সম্পর্ক নেই। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন মোদি সরকার যেখানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিদেশ থেকে যাবতীয় কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে সেই সমস্ত টাকা প্রত্যেক ভারতবাসীর ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হবে সেই প্রতিশ্রুতির কি হলো অর্থনীতিবিদদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন এই যে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অর্থ সুইস ব্যাংকের বিনিয়োগ হচ্ছে সেই সংক্রান্ত কোন তথ্য কি আয়কর দপ্তর বা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে রয়েছে।
নামে-বেনামে তারা এই বিনিয়োগ করছে তারা তাদের সম্পদ সুইস ব্যাঙ্কে জমা রাখছি সেই তালিকা কি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রয়েছে, কেন এখনও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সুইস ব্যাংকে কাদের কালো টাকা রয়েছে তার পরিপূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে পারল না! অনেকে বলছেন সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করলে বা কারা সুইস ব্যাংকে টাকা আছে সেই তালিকা যদি সামনে আসে তাহলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়বে। তাই বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে মোদি সরকার আর ভারতীয় সম্পদ পাচার হচ্ছে সুইস ব্যাংকে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হচ্ছে বেকারত্ব বাড়ছে কর্মসংস্থান কমছে।