Last Updated on November 15, 2020 10:47 PM by Khabar365Din


৩৬৫ দিন : রবীন্দ্রসদনে শায়িত প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর মরদেহ। হাজার হাজার অনুরাগীর ভিড়ে মালা দিতে এলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তীরা। সৌমিত্রকে শ্রদ্ধা জানাতে তাদের যাতে কোনাে সমস্যা না হয় তার। জন্য পুলিশ কর্তাদের ডেকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশে দাঁড়িয়ে তদারকি করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এমনকি সৌমিত্রের শেষ যাত্রাতেও কেওড়াতলা শ্মশান পর্যন্ত পদযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী নিজে সামনে থেকে তত্ত্বাবধান করেন এই শােক যাত্রার।কটু ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গেলেই, ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই বাংলা ছবির মহানায়ক উত্তমকুমারের প্রয়াণের পরে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা এই সিপিম কিন্তু তাঁকে মালা দিতে যায়নি।
কারণ তিনি বামপন্থী ছিলেন না। শুধুমাত্র বামপন্থী না হওয়ার অপরাধে বাংলা ছবির জগতের মহানায়ক উত্তম কুমারকে তার লক্ষ লক্ষ অনুরাগী যাতে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে না পারেন তার জন্য, রবীন্দ্রসদনে আগে থেকে একটি নাচের অনুষ্ঠানের বুকিং থাকার অজুহাতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু উত্তমের মরদেহ রাখ র অনুমতি দেননি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজের জীবদ্দশায় আজীবন বামপন্থায় বিশ্বাস করার পাশাপাশি প্রকাশ্যেই সিপিএমের মুখপত্রে লেখালেখি করেছেন অসংখ্য বার। তার পরেও তাঁকে জীবদ্দশায় রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসার খরচ বহন করা এবং মৃত্যুর পরে গান স্যালুট দেওয়ার মতাে রাজনৈতিক ভেদাভেদ এর উর্দধে ওঠা বােধহয় একমাত্র মমতাখর পক্ষেই সম্ভব।