৩৬৫ দিন। করোনার সময় যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে দেখা গিয়েছিল গঙ্গায় মৃতদেহের সারি ভাসতে। বিনা চিকিৎসায় উত্তরপ্রদেশে রোগী মৃত্যু-ও নতুন কিছু নয়, মানুষের চিকিৎসা না হলেও গরুর কিন্তু যোগীর রাজ্যে আলাদা-ই কদর, আর সেই গরু যদি হয় দাপুটে মহিলা জেলাশাসকের তা হলে তো কথাই নেই! ফতেপুরের জেলাশাসক অনুপ্রিয়া দুবে। তাঁর পালিত গরুর ব্যারাম নিরাময়ের জন্য তৈরি হল সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড!
রাজ্যের পশুচিকিৎসা দপ্তরের প্রধান এসকে তিওয়ারি জেলাশাসকের গরুর রোগ নিরাময়ের জন্য এই সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন শুধু বোর্ড গঠন করে দেওয়াই নয় কোন চিকিৎসক কখন অসুস্থ গরুর চিকিৎসা করবেন তার দেখভাল করবেন রীতিমতো তার রস্টার তৈরি করে দেয়া হয়েছে। একেবারে কর্পোরেট স্টাইলে প্রত্যেক চিকিৎসককে অসুস্থ গরু দেখার পর তার পর্যবেক্ষণ এবং তিনি কি চিকিৎসা করলেন তা নথিবদ্ধ করতে হবে এবং রিপোর্ট আকারে সেটি ডা তিওয়ারির কাছে পেশ করতে হবে কর্তব্যে এতোটুকু গাফিলতি হলে শাস্তি হবে কড়া এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি এই বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সামনে আসার পর থেকে বিস্মিত বিভিন্ন মহল। তাদের প্রশ্ন জেলাশাসকের গরু চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হচ্ছে অথচ উত্তরপ্রদেশের 90 শতাংশ হাসপাতাল এবং রয়েছে যেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই স্বাস্থ্যকর্মী নেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নেই সাধারণ মানুষকে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসার জন্য হাপিত্যেশ করতে হয়, সেখানে গরুর জন্য মেডিকেল বোর্ড 7 জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ সত্যিই আশ্চর্যের।
বিভিন্ন মহলের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশ সরকার যে আমলা কেন্দ্রীক সরকার এই ঘটনা থেকেই তা পরিষ্কার হচ্ছে যোগী আমলে উত্তরপ্রদেশ এমন এক রাজ্যে পরিণত হয়েছে যেখানে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। মানুষ এখানে বিনা চিকিৎসায় মরবে এবং গরুর জন্য মেডিকেল বোর্ড বসবে এটাই বিজেপির আমলে ‘উন্নততর’ উত্তরপ্রদেশ!
এসব ঘটনার পরেও মোদী অমিত শাহরা দরাজ সার্টিফিকেট দেবেন যোগী আদিত্যনাথ কে।