সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মিঠুনের নীলগিরি রিসর্ট ভাঙা পড়ছে

0

Last Updated on October 15, 2020 7:52 PM by Khabar365Din

বিশেষ প্রতিবেদন। নয়াদিল্লি। নীলগিরি হাতি করিডােরে মিঠুনের রিসর্ট সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ভাঙা পড়ছেভাঙা পড়ছেমিঠুন চক্রবর্তীর নীলগিরি রিসর্ট। নীলগিরি হাতি করিডাের নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দেওয়া রায়কেই বহাল রাখলাে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৯৬ সাল থেকে চলা ইমামলার নিষ্পত্তি ঘটিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ওই এলাকা হাতি করিডাের হিসাবে চিহ্নিত এবং সব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার ক্ষমতা তামিলনাড়ু সরকারকে দেওয়া হল। মিঠুন সহ ৩২ জন আবেদনকারী মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন।তাদের দাবি ছিল, নিয়ম মেনেই তাঁরা রিসর্ট বানিয়েছেন, এলাকার অনেক আদিবাসী মানুষের জীবিকা এই রিসর্ট ও হােটেলগুলাের ওপর নির্ভর করছে।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার জানিয়েছে, ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্রকে আর নষ্ট করা যাবে না। বরং সরকারের সঙ্গে আলােচনা করে নিলগরী পাহাড়ের অন্যত্র যদি এই রিসর্ট ও হােটেলগুলাের জন্য বিকল্প জমির ব্যবস্থা করা যায় তা দেখতে হবে। প্রসঙ্গত উটি সহ নীলগিরি পাহাড় অঞ্চলে মিঠুন চক্রবর্তীর চারটি রিসর্ট এবং একাধিক হােটেল রয়েছে। প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে এই হােটেল ও রিসর্টগুলাে খুবই জনপ্রিয়। বিদেশি পর্যটকদের কাছে মিঠুনের নীলগিরি রিসর্টর খুব জনপ্রিয়তা। তামিলনাড়ুর নীলগিরি পর্বতের মুদুমালাই অভয়ারণ্যকে ছুঁয়ে জঙ্গল পাহাড়ের মধ্যে মিঠুনের এই রিসর্ট আসলে এলিফ্যান্ট করিডােরের মধ্যেই পরে। শুধু মিঠুনের রিসর্ট নয়, আরও ২২ টি রিসর্ট ও প্রায় ৪০০ হােটেল এই এলিফ্যান্ট করিডােরে অবস্থিত। হাতিদের নিজস্ব যাতায়াতের পথ সহ, এলাকার বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হওয়ায়, গত ১০ বছর ধরে হাতি ও বন্য জন্তুরা অন্য পথ দিয়ে লােকালয়ে নেমে আসছে, হাইওয়েতে গাড়ির ধাক্কায় মারা পড়ছে হরিণ, শিয়াল, খরগােশ, বুনাে কুকুর সহ প্রচুর প্রাণী। এই নিয়ে ২০১১ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা হয়, এবং হাইকোর্ট রায় দেয় যে, তামিলনাড়ু সরকার ওই হাতি করিডাের। রক্ষায় সব ব্যবস্থা নিতে পারে এবং হাতিদের চলাচলের রাস্তা সাফ করে দিতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here