বিরােধীরা জানালেন
সংসদ বয়কট

0

Last Updated on September 22, 2020 8:16 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন নয়াদিল্লি। কৃষক বিরােধী কৃষি বিল প্রত্যাহারের পাশাপাশি কৃষকদের স্বার্থে মূল তিনটি দাবি যতক্ষণ না পূরণ হবে তৃণমূল, কংগ্রেস, শিবসেনা-সহ দেশের প্রধান বিরােধী রাজনৈতিক দলগুলাে সংসদের বাদল অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিল। গতকাল সকাল থেকে সারারাত জেগে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসে থাকার পরে আজ সকালে তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ তথা সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ওখব্রায়েন বলেন, আমাকে অধিবেশন থেকে বহিষ্কার করতে পারেন কিন্তু আমাদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে চুপ করাতে পারবে না সরকার। এর আগে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ন সিং ধর্নায় শামিল সাংসদদের চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানালে তাঁরা তা বয়কট করেন।কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা গুলাম নবি আজাদ আজ স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিরােধীরা অধিবেশন বয়কট করবেন। প্রথমত আরও একটি বিল এনে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে কোনও বেসরকারি সংস্থা ন্যুনতম সহায়ক মূল্যের কম দামে কৃষিপণ্য কিনতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, সেই নমূনতম সহায়ক মূল্যের দাম নির্ধারণ করতে স্বামীনাথন কমিটির রিপাের্টের ভিত্তিতে। তৃতীয়ত, ননতম সহায়ক মূল্যের কম দামে যেন ফসল, আনাজ কেনে ফুড কর্পোরেশন ইন্ডিয়া বা কেন্দ্রের অন্যান্য সংস্থা। আজ রাজ্যসভাতেও অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই বহিষ্কৃত ৮ সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানায় কংগ্রেস তৃণমূল সহ সমস্ত বিরােধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। কিন্তু সরকারপক্ষ তা মানতে রাজি হওয়ায় সমবেতভাবে ওয়াকআউট করে বিরােধীরা। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিরােধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলি বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা আপাতত শেষ হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরােধী কৃষি বিলের বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্র জোরদার আন্দোলন শুরু হবে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের অন্যতম শরিক তথা এনসিপি সুপ্রিমাে শরদ পাওয়ার আজ সকাল থেকেই রাজ্যসভা থেকে ৮ সাংসদকে বহিষ্কারের বিরােধিতায় আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একদিনের প্রতীকী অনশন ধরনায় বসেছেন। এমনিতেই সংসদের উভয় কক্ষের জোর করে পাশ করিয়ে নেওয়া কৃষি বিল নিয়ে প্রথম থেকেই রীতিমতাে বেকায়দায় বিজেপি এবং কেন্দ্রের নরেন্দ্র মােদি সরকার। তারমধ্যে অন্যতম প্রধান শরিক দল শিরােমনি অকালি দলের তরফে রাষ্ট্রপতির কাছে দিলে সইনা করার আবেদন জানানাের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে অকালি দলের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কাউরের ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গে দেশের সমস্ত বিরােধী রাজনৈতিক দলের অবস্থানে বড়ােসড়াে চাপের মুখে পড়ল বিজেপি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here