Last Updated on January 6, 2022 12:47 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। যতদূর চোখ যায় রাস্তা ফাঁকা। গাড়ি আটকে হামলা বা অবরোধ দূরে থাক জনমানব পর্যন্ত নেই। তাও উড়ালপুলে আটকে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশাল কনভয়। এন এস জি – র কাছে নাকি খবর বিশাল বিক্ষোভ হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ঘিরে এমনকি প্রধানমন্ত্রীর প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। তার পর সেখান থেকে কনভয় ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হয় মোদীকে। সূত্রের খবর, বিমানবন্দরে ফিরে আধিকারিকদের উদ্দেশে মোদী নাকি বলেন, ‘‘বেঁচে ফিরতে পেরেছি, এই অনেক! এর জন্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে আমার হয়ে ধন্যবাদ জানাবেন।’’ বুধবার দুপুরে মোদির কনভয় আটকে পড়া ঘিরে নাটক দেখল পাঞ্জাব তথা গোটা দেশ কংগ্রেসসহ বিরোধীদের অভিযোগ আসলে পাঞ্জাবে কোন ভাবেই ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয় বুঝেই নাটক করছেন প্রধানমন্ত্রী যাতে অন্তত উত্তরপ্রদেশে খানিকটা ভোট পাওয়া যায়। বুধবার পঞ্জাবের হুসেইনিওয়ালায় জাতীয় শহিদ স্মারকে একটি কর্মসূচির পর ফিরোজপুরে একটি জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কথা ছিল, সকালে ভাতিন্দা বিমানবন্দরে নেমে কপ্টারে করে গন্তব্যে পৌঁছবেন তিনি। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিমানবন্দর থেকে গাড়িতেই সড়কপথে রওনা দেন তিনি।
ওই যাত্রাপথে একটি উড়ালপুলে ১৫-২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। তার পর সেখান থেকে কনভয় ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হয় মোদীকে। এই বিষয়টিকে ইস্যু করে তড়িঘড়ি ময়দানে নেমে পড়ে ভাজপা। সাংবাদিক বৈঠক করে স্মৃতি ইরানি অভিযোগ করেন, নিরাপত্তায় গলদের জন্য ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু না। আমরা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।’’ অন্য দিকে, বিজেপি-র সব অভিযোগ খারিজ করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাত ৩টে পর্যন্ত সব রাস্তা খালি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সড়কপথে আসার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। আমাদের তরফ থেকে নিরাপত্তায় গাফিলতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বিজেপি মিছিলের ডাক দিয়েছিল। ওতে লোক ৭০০ লোক হয়েছিল। তাই বাহানা করে মিছিল বন্ধ করা হয়েছে।’ রাজনৈতিক মহলের মতে আসলে মোদির কনভয় আটকে পড়া বলে যা প্রচার করা হচ্ছে আসলে তার সবটাই নাটক ছবি বা ভিডিও সামনে এসেছে তাতে কোথাও দেখা যাচ্ছেনা মোদির কনভয় আটকে কোথাও কোনো বিক্ষোভ হচ্ছে বা মোদির যাত্রাপথে কোথাও কোনো বিক্ষোভকারী রয়েছে তাহলে আশঙ্কা কেনই বা কোন ভাবেই দেওয়া হলো তা পরিষ্কার নয় এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে আসলে ভাজপার কর্মসূচির হচ্ছে না সেই খবর পাওয়ার পর এই ধরনের অভিযোগ তুলে কর্মসূচি বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী। দুদিন আগে ত্রিপুরা তো দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় লোক ধরে রাখতে দরজা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল তার পরও লোক হচ্ছে না দেখে মাত্র ১৫ মিনিট বক্তব্য রেখে সভাস্থল ছাড়তে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে সেই বিরম্বনায় যাতে আর পড়তে না হয় তার জন্য কি এমন কৌশল নিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।